২৮ মে ২০২৩, ২১:২৪

মেয়ে সেজে ফোনে প্রেম হাবিপ্রবি ছাত্রের, হাতিয়ে নেয় ১৮ লাখ টাকা

ভগদীশ চন্দ্র রায় ও সুজন সরকার  © সংগৃহীত

মেয়ে সেজে কণ্ঠ নকল করে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ছাত্র সুজন সরকার, করতেন প্রেম। এরপর প্রেমিকের কাছ থেকে কৃষি প্রজেক্টের কথা বলে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এমন প্রতারণার অভিযোগে সুজন ও তার সহযোগী ভগদীশ চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আজ রবিবার বিকেলে বিষয়টি জানান নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি জানান, দু'জনকেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে বিশবিদ্যালয়ের সামনে বাঁশের হাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারের সময় সুজনের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিমসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন সরকার ভিকটিম মো. ফরিদুল ইসলামের নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেন। এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।

সুজন সরকার হাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বীরগঞ্জের সাদুল্লাপাড়ায়, বাবার নাম গোপাল সরকার। গ্রেপ্তার ভগদীশ রায়ের বাড়ি সদর উপজেলার মুজাহিদপুর এলাকায়, তার বাবার নাম দয়াল চন্দ্র রায়।  

পুলিশ জানায়, সুজন সরকার ফেসবুকে জান্নাতুল নাহিমা (অচেনা পথিক) নামে একটি ভুয়া আইডি খুলে নবাবগঞ্জের ফরিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে সুজন ও তার সহযোগী কৃষি প্রজেক্টের কথা বলে বিভিন্ন কৌশলে ফরিদুলের কাছে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদুল ইসলামের কাছে ১৪ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।