২৭ মে ২০২৩, ১৫:০৩

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শাবি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ৯৭.৭৮ শতাংশ 

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থী  © টিডিসি ফটো

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) উপকেন্দ্রে গুচ্ছের ‘সি’ (GST) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৯৭.৭৮%। অনুপস্থিত ছিলেন ২১জন। শনিবার (২৭ মে) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি ভবনে একযোগে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে বেলা ১টা পর্যন্ত।

এ বিষয়ে শাবিপ্রবির ভর্তি কমিটির অধ্যাপক সভাপতি ড. স্বপন কুমার সরকার বলেন, আজ সি-ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বেলা ১২ টায়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি ভবনে পরীক্ষা শেষ হয়। 

ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’ তিন ইউনিটে সারাদেশে অংশ নেবে ৩ লাখ ২ হাজার ২৩১ জন। এরমধ্যে ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) ৯৬ হাজার ৪শ’ ৩৪ জন, ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য) ৩৯ হাজার ৮শ’ ৬৪ জন এবং ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯শ’ ৩৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পরীক্ষায় অসদুপায় ও ডিজিটাল জালিয়াতি ঠেকাতে আমরা তৎপর আছি। ক্যাম্পাসে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শৃঙ্খলা নিশ্চিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবহণ ভোগান্তি কমাতে ও অভিভাবকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সিলেট শহরের বিভিন্ন রোড়ে ১২টি বাস দেওয়া হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সিলেট শহরের বিভিন্ন রোড়ে ১২টি বাস দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পরিবহণ উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় পাশে ছিলেন শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সুপেয় পানি সরবরাহ, কলম প্রদান, সিট খুঁজে বের করে দেওয়া, মাস্ক বিতরণ, জয় বাংলা বাইক সার্ভিস ও অভিভাবকদের বসার জায়গা করে দেওয়া হয়।

সার্বিক বিষয়ে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমাদের সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা আছে। ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি ঠেকাতেও আমরা সর্তক এবং সদা তৎপর আছি। এতে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। পরীক্ষাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা শেষ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।