জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি’র ৫০ পূর্তি উদযাপন রাবিপ্রবির
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করলো রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)। মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আনন্দ র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এরপর দীপংকর তালুকদার ভবনের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, সহকারী অধ্যাপক জুয়েল সিকদার (প্রক্টর) রাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক)মাহবুব আরা এবং রাবিপ্রবি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি সভাপতি কামাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, জাতির পিতা ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের জন্য যে মহান লড়াই সংগ্রাম করেছেন তা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর জুলিও কুরি পদকের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলনে এক ঝাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। বলা-বাহুল্য যে, স্বাধীন বাংলাদেশে কোনও রাষ্ট্রনেতার এটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ। জানা যায়, নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরির নামে ১৯৫৯ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদ এ জুলিও কুরি পদক চালু করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাবিপ্রবি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক ঋষিতা চাকমা। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।