১৭ মে ২০২৩, ১৪:৩২

ক্যাম্পাসের ভেতর অটোরিকশা স্ট্যান্ড, বিব্রত পবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাসের ভেতর অটোরিকশা স্ট্যান্ড  © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) দ্বিতীয় ফটক দিয়ে প্রবেশ করলে হঠাৎ যে কেউই মনে করবে স্থানীয় যাত্রী চলাচলের অটোস্ট্যান্ড এটি। ক্যাম্পাসে প্রবেশের মুখেই রয়েছে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার বিশাল সারি। "এখানে পার্কিং নিষেধ" সম্বলিত এক সাইনবোর্ড থাকা সত্ত্বেও সব অটোরিকশা চালকই যেন কোন গুরুত্বই দিচ্ছেন না। উপরন্তু "লেবুখালী, লেবুখালী" হাক দিয়ে যাত্রী উঠাচ্ছেন চালকেরা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকার অভ্যন্তরে এমন পরিস্থিতিতে বেশ বিব্রত পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, ক্যাম্পাসের ভেতর রয়েছে বহিরাগত যানবাহনের অবাধ চলাচল। বেপরোয়া গতিতে চলমান এসব যানবাহনের কারণে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন ক্যাম্পাসের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা। এসব নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বহিরাগত গাড়ীর যত্রতত্র পার্কিং ও চলাচলে আমরা যথেষ্ট বিব্রত। মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত আনসার সদস্যদের সাথেও এসব গাড়ীর চালকেরা বাকবিতন্ডায় জড়ান। এ সকল সমস্যার একটি কার্যকরী সমাধান দরকার।

আরও পড়ুন: পবিপ্রবির শৌচাগারের দরজায় নোটিশ—‘উপরের পাইপ থেকে পানি পড়ে’

বিষয়টি নিয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, এ ধরণের সমস্যা বেশী হলে যদি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। দরকার হলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এ সমস্যা সমাধানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, আমি স্থানীয় বাজার কমিটির সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী সড়কটি মূলত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের। তাই চাইলেই এটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়।
অটোরিকশা স্ট্যান্ডের কারণে দ্বিতীয় ফটক সংলগ্ন একটি বড় অংশ ঘেরাও করে দেওয়া হয়েছে। তবুও অটোরিকশা চালকরা নিয়ম না মেনে আশেপাশে তাদের গাড়ী পার্কিং করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনসাররা মাঝে মাঝে তাদের উঠিয়ে দেন। আশা করছি দ্রুত এ বিষয়ে আমরা একটি সমাধানে আসতে পারবো।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, এটা একটা পাবলিক সড়ক হওয়ায় জনসাধারণের সুবিধার্থে খোলা রাখতে হয় তবে এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা যেন কম হয় সেদিকে নজর দেওয়া হবে।