১৭ মে ২০২৩, ০৯:৪৯

শাবিপ্রবিতে মধ্যরাতে আগুন, পুড়ল রিসার্চ ল্যাবরেটরি

মঙ্গলবার রাতে শাবিপ্রবিতে আগুন লাগে  © সংগৃহীত

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত পৌনে ২টার দিকে ‘এ’ ভবনের একটি কক্ষ আগুনে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ভবনের ১২৭ নম্বর কক্ষে রাত পৌণে ২টার দিকে আগুন লাগে। কক্ষটিতে একটি রিসার্চ ল্যাবরেটরি রয়েছে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।

ফায়ার সার্ভিসের একটি দল  আধা ঘণ্টার চেষ্টায় রাত আড়াইটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে কক্ষের এসি ও চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তাকর্মীদের সূত্রে জানা যায়, রাত ১টার দিকে হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের-‘এ’ ভবনের ১২৭নং কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ কক্ষটি রিসার্চ ল্যাবরেটরি ও ক্যান্সার সনাক্তকরণ ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে শিক্ষাসফরের চলন্ত বাসে আগুন

নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, রাতে ল্যাবে এসি চালু ছিল, হয়তো অফিস বন্ধ হওয়ার পরেও কেউ সেটা বন্ধ করে যায়নি। বজ্রপাত হওয়ার ফলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যায়। ল্যাবের দরজা লক থাকায় ভেতরে ঢুকতে পারেননি তারা। কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে চলে আসি। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, পরিস্থিতিও ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তাকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখন বলা যাচ্ছে না। বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা তা বলতে পারবেন।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শাহ আলম বলেন, আমরা ইলেক্ট্রিশিয়ানদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা ধারণা করছে রাতে ঝড়ে বিদ্যুৎ আপ-ডাউন করায় ল্যাবে থাকা এসি কিংবা টিউব লাইট ব্লাস্ট হয়ে আগুন লেগেছে। এতে আমাদের কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তা অবহিত করেছি, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ল্যাবের কাজ পুনরায় শুরু করা যাবে।