পবিপ্রবির শৌচাগারের দরজায় নোটিশ—‘উপরের পাইপ থেকে পানি পড়ে’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আবাসিক হলের শৌচাগারের দরজায় ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষ নোটিশে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। উপরের তলার শৌচাগারের পাইপ ফুটা হওয়ায় নিচের তলার শৌচাগারের ব্যবহারকারীদের এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় মাত্র কয়েকবছরে এসব জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে।
সরেজমিনে পবিপ্রবির সর্ববৃহৎ আবাসিক হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা মিলেচে। ওই হলের ‘সি’ ব্লকের শৌচাগারগুলোতে বেশি সমস্যা দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শৌচাগারগুলো অপরিচ্ছন্ন, দীর্ঘদিন বেসিনগুলো পরিষ্কার করা হয় না, মেঝে থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত ঝুলে পরিপূর্ণ। ট্যাপগুলো অধিকাংশই পুরোপুরি অকেজো, আবার কোনোটা থেকে অনবরত পানি পড়ছে।
হল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ বিষয়ে তাদের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে তারা দ্রুতই এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন। কিছু সমস্যা সমাধানে কাজও শুরু হয়েছে। তবে শৌচাগারের দরজায় এমন নির্দেশনা কে বা কারা লাগিয়েছে, এ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছে না হল প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই এমন নোটিশ লাগাতে পারে বলে ধারণা তাদের।
আরও পড়ুন: ফেঁসে যাচ্ছেন যবিপ্রবির সহকারী প্রকৌশলী
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, এটা সবচেয়ে আশ্চর্যজনক যে, সতর্ক করতে কয়েকটি শৌচাগারের দরজার সাথে সাইনবোর্ড লাগানো আছে। সেগুলোতে লেখা আছে ‘‘উপরের পাইপ থেকে পানি পড়ে’’। সমস্যাগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা। এই পাইপ হলো উপরের তলার বর্জ্য পদার্থ চলাচলের পাইপ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ওয়াশরুমের পাইপ থেকে কমোডে বসলে পানি আমাদের গায়ে পড়ে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে।
মো. ইমরান নামে ওই হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডাস্টবিন পরিষ্কার করা হয় না। বেসিনে আয়না নেই, সপ্তাহে দুই দিন পরিষ্কার করার কথা বলা হলেও একদিন পরিষ্কার করে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান জরুরি।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাহিদ হাসান বলেন, বিষয়গুলো আমি শুনেছি। ইতিমধ্যে পানির কলের চলমান সমস্যা সমাধানে পাইপ ক্রয় করা হয়েছে; দ্রুতই সেগুলো লাগানো হবে।
নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের দুইজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কাজ করে আরেক জন ঠিকমতো কাজ করে না। তার বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। একইসাথে নতুন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি, সবগুলো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।