১৫ মে ২০২৩, ০৯:০১

ফেঁসে যাচ্ছেন যবিপ্রবির সহকারী প্রকৌশলী

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রোববার (১৪ মে) দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন মামলাটি করেন।

অভিযুক্ত শফিউল আলম যশোর জেলার অভয়নগরের চলিশিয়া গ্রামের গোলাম সরদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলাটি হয়েছে।

দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আল আমিন বলেন, গত ২ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে খুলনা অফিসের এক স্মারকে মামলার অনুমোদনপ্রাপ্ত হন। এরপর যবিপ্রবির সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

মামলায় বলা হয়েছে, শফিউল আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জুন দুদকের যশোর কার্যালয়ে জবাব দাখিল করেন। সেখানে পৈতৃক সূত্রে সাত দশমিক দুই শতাংশ জমির মালিক বলে উল্লেখ করেন।

২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার পর নিজের ও স্ত্রীর নামে ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার জমি কেনা ও ২৪ লাখ টাকার ভবন নির্মাণ এবং ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার সম্পদ থাকার ঘোষণা দেন। কিন্তু গণপূর্তের সহায়তায় জানা গেছে, বাড়ি নির্মাণে ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭০ টাকা ও স্ত্রীর নামে জমি কিনতে ব্যয় করেছেন ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ৯০০ টাকা।

শফিউল আলমের ২০২০-২১ অর্থ বছরের আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পারে, তার ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৯ টাকা। ৬০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রিক সামগ্রী রয়েছে। সম্পদ যাচাইকালে দুদক জানতে পারে, তাদের স্থাবর ৭৬ লাখ ২১ হাজার ৬৭০ টাকা ও অস্থাবর ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬৫৩ টাকাসহ ১ কোটি ১৫ লাখ ১ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পত্তি আছে। এ হিসাবে ৪৭ লাখ ২২ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন তিনি।