অভিযানের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা হাবিপ্রবি সংলগ্ন বাঁশেরহাট
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, পণ্যের গুনগত মান যাচাই সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ই মে ভোক্তা অধিকার বিশেষ অভিযানের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সংলগ্ন বাঁশেরহাট বাজার।
শনিবার (১৩ মে) পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সকাল থেকে সকল দোকান বন্ধ রেখেছে বাঁশেরহাট বাজারের মালিক সমিতি।
বাঁশেরহাট দোকান মালিক সমিতির সদস্য মো. ছাদিক ইসলাম জানান, ভাতের দাম ও ডালের দাম ৫ টাকা করে বাড়ানোর জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের কারণে এবং ভোক্তা অধিকারের অভিযানের প্রতিবাদে সকল দোকান বন্ধ রেখেছে বাঁশেরহাট বাজারের মালিক সমিতি।
তবে এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে হোটেল ব্যাবসায়ী ও কাঁচামালের ব্যাবসায়ীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে সংশয় প্রকাশ করে মো. ছাদিক ইসলাম বলেন, আজ কর্মীরা কাজে এসেও কাজ করতে পারছে না। এভাবে কয়েকদিন চলতে থাকলে কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দিতে পা।
এদিকে দোকান-পাট বন্ধ রাখায় বিক্ষুব্ধ প্রিতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মাঝে।
হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা নুফা নুসরাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, এক প্লেট ভাতের দাম ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা করেছে, একটা পরাটা ডালসহ ১৫ টাকা, মুরগি-মাছের তরকারি তো ৪০ এর নিচে নেই। খাবারের মান অনেক নিম্ন। কাঁচা সবজির দাম বেড়েছে। এদের বয়কট করতে হবে।
সাজিয়া আফ্রিন নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, একটা সিস্টেম করা উচিত যেনো কোন শিক্ষার্থী বাঁশেরহাট থেকে খরচ না করে অন্তত কিছুদিন। বিষয়টি কঠোরভাবে পরিচালনা করা উচিত যাতে বাঁশেরহাটে শিক্ষার্থীদের খরচ করা বন্ধ থাকে। দোকান খোলা থাকলেও কয়েকদিন কেউ কোন পণ্য কিনবে না দোকান থেকে । শিক্ষার্থীরা এক হলে দোকানদাররা পারবে না আমাদের সাথে। কিন্তু সমস্যা সেই এক জায়গায় আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো একতা নেই।
এদিকে প্রতিবাদের অংশ হিসাবে শিক্ষার্থীরা কিছু সময়ের জন্য রংপুর - দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে দোকান মালিক সমিতির সাথে বসে মূল্যতালিকা করে দিবো। যাতে শিক্ষার্থী ও দোকান মালিক সবার সুবিধা হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আমরা দোকান মালিক সমিতিকে আহ্বান জানিয়েছি দ্রুত সকল দোকান খোলার ব্যাপারে।