শাবিপ্রবির অধিকাংশ বিভাগে ফল প্রকাশে বিলম্ব, সেশনজটের শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা
- শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৩, ০৬:৩৪ PM , আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ০৬:৩৪ PM
শিক্ষকদের অন্তর্কোন্দল, জবাবদিহিতার অভাব, খাতা দেখায় অনীহা ও উদাসীনতাসহ নানা কারণে আটকে আছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধিকাংশ বিভাগের পরীক্ষার ফলাফল। এতে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন সেশনজটে পড়ছেন অন্যদিকে বিভিন্ন চাকরির সার্কুলারেও আবেদন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে হতাশায় দিন পার করছেন অনেক শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭টি বিভাগের মধ্যে মাত্র ৮টি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল অফিসিয়ালি প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া মাত্র কয়েকটি বিভাগে কিছু কোর্সের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
পরীক্ষা দপ্তরের তথ্য মতে, ৩৫তম একাডেমিক কাউন্সিলের সংশোধিত আইন অনুযায়ী প্রতিটি সেমিস্টার শেষ করতে সময় লাগার কথা সর্বোচ্চ ২৬ সপ্তাহ বা ছয় মাস। এতে ক্লাস হবে ১৩ সপ্তাহ, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেওয়া হবে দুই সপ্তাহ। পরীক্ষা শেষ হবে তিন সপ্তাহে। আর ফল প্রকাশ হবে পরীক্ষা পরবর্তী আট সপ্তাহের ভেতর। তবে বিশেষ কিছু বিষয়ে ফল প্রকাশের সময়সীমা সামান্য কম-বেশি হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আইন লঙ্ঘন করে ফল প্রকাশ বিলম্ব করছে বিভাগগুলো।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষ হয়েছে অধিকাংশ বিভাগের। পরীক্ষা শেষ হওয়ার চার মাস পার হয়ে গেলও এখনো ফলাফল দিতে পারেনি বিভাগগুলো। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিভাগে প্রতি বছর ফল প্রকাশে প্রায় বছর খানেক চলে যায়। গত বছরও প্রায় এক বছরের মাথায় ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করতে ব্যাপক বিলম্ব হয়। একই কথা বলেছেন গণিত বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী।
ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিভাগীয় প্রধান জানান, কিছু বিভাগে এক শিক্ষকের সাথে অন্য শিক্ষকের অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ফলে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাতা কাঁটেন না। অন্তর্কোন্দলের পাশাপাশি শিক্ষকদের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে সাবমিট করার কারণে অনেক শিক্ষকের কম্পিউটারের উপর দক্ষতা না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ে ফলাফল তৈরি করতে পারেন না বলে জানান।
এ বিষয়ে শবিপ্রবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, অনেক সময় দ্বিতীয় বা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা গেলে তারা খাতা পাঠাতে দেরি করে থাকেন। এছাড়া পরীক্ষা কমিটির প্রধান গুরুত্ব দিলে ফল তাড়াতাড়ি প্রকাশ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।