০৮ মে ২০২৩, ১৪:০৫

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( হাবিপ্রবি ) সংলগ্ন বাঁশেরহাটে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এতে করে বিপাকে পরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হাজারো শিক্ষার্থী। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বিশেষত উচ্চ-দ্রব্যমূল্যের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেধাবী শিক্ষার্থীরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয়, তার উপর দিনাজপুরে টিউশনিতে খুব বেশি সম্মানীও পাওয়া যায় না। সত্যি বলতে খুব বিপদে আছি। এদিকে বাসা থেকে কোনো আর্থিক সাপোর্ট নেই। অন্যদিকে চাকরীর বাজারেও সংকট। এভাবে সংশয় নিয়ে প্রতিটি দিন পার করা সত্যিই কঠিন। জানিনা এভাবে কতদিন চলতে পারবো।’ 

আফসানা জেরিন ফেসবুকে মতামত দিয়েছেন, `চাল আটার দাম কমে সারা দেশে ভাত এর দাম বাড়ে বাশেঁরহাটে। আবার মো. সাব্বির হোসেন লিখেছেন, বাসা থেকে টাকার এমাউন্ট বাড়েনি, বেড়েছে বাশেঁহাটের খাবারের দাম।‘

আরো পড়ুন: ছুটি শেষে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর বেরোবি, ক্লাস শুরু মঙ্গলবার

সম্প্রতি প্রকাশিত হোটেল মালিকদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয় ভাত প্রতি প্লেট ১৫ টাকা, পোলাও ৩০ টাকা, খিচুরি ২৫ টাকা, পরাটা ও পুরি প্রতি পিচ ১০ টাকা, মোগলাই ৩০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির মাংস বাটি প্রতি ৫০ টাকা, দেশি মুরগি ১০০ টাকা, হাঁসের মাংস ১৩০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি পিচ ১৪০ টাকা ও সবজি ২০ টাকা।

এদিকে দোকান মালিক সমিতির একাধিক ব্যক্তি জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারাও বিপাকে পরেছেন। ইচ্ছা থাকলেও দাম কমাতে পারছেন না বলে মত দেন অনেকে। এসময় তারা আরো জানান, খাবারের মূল্য বৃদি্ধ করায় পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে বিক্রিও কমেছে। 

উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন ফসল সরাসরি উৎপাদন হওয়ার পরও খাদ্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সহজ ভাবে নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তাই শিক্ষার্থীদের একাংশ মনে করেন দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে ভোক্তা অধিকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ দরকার।