০৬ মে ২০২৩, ১১:৪০

অনুমতি ছাড়া শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে গাছ কাটার অভিযোগ

অনুমতি ছাড়া শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে গাছ কাটা হয়েছে  © সংগৃহীত

বনবিভাগের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে ক্যাম্পাসের মেডিকেল সংলগ্ন রাস্তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গাছ কেটেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডালপালাও কাটার অভিযোগও রয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ও মেডিকেলের মধ্যবর্তী রাস্তায় বড় ও মাঝারি সাইজের চারটি গাছের মূল কাটা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে।

এদিকে গাছ কাটার ফলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য হারানোর শঙ্কায় ক্ষোভ জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসন নিজেদের ইচ্ছেমত যেকোনো সময় গাছ কাটে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি, গাছ কাটলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে এস্টেট শাখার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার এ জেড এম তামরিনুল হাসান বলেন, সমস্যায় জর্জরিত গাছগুলো কাটতে বন বিভাগের পরামর্শ আছে। সে আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আকাশমনি গাছ কাটা হয়েছে। মূলত ভালো গাছ কাটতে অনুমতি লাগে, কাটা গাছগুলোর ভিতর ফাঁপা ও নষ্ট। এ কারণে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: ৬টি চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মানবিক শওকত

তিনি বলেন, এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে বনবিভাগের সহায়তায় গত দুবছরে ৪৫ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। প্রয়োজনে যেখান থেকে নষ্ট গাছ কাটা হয়েছে সেখানে পুনরায় চারা লাগানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার প্রধান এবং ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল বিভাগের অধ্যাপক রোমেল আহমদ বলেন, মূলত দুর্ঘটনা এড়াতে গাছ ও গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। যে গাছগুলো কাটা হয়েছে সেগুলোর ভেতর ফাঁপা। ঝড়বৃষ্টিতে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই এগুলো কাটা হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের দুর্ঘটনা এড়াতে এককিলো রোডে আরও কিছু নষ্ট গাছ কাটা হবে।

তবে সিলেট জেলা বন অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ জানান, গাছ কাটার বিষয়ে শাবিপ্রবি প্রশাসন থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

অনুমতি ছাড়া ফাঁপা ও নষ্ট হওয়া গাছ কাটতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কোনো পরামর্শ দেওয়া আছে কি-না এ বিষয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই বন বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। এরকম কোনো পরামর্শ তাদের দেওয়া হয়নি।