বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বুটেক্স শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত
বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন তার এক সহপাঠী। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে গেলে সাতটি সেলাই করেছেন চিকিৎসক। গত শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আজিজ হলের ৪০৭ নাম্বার কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুল আহসান সৈকত। তিনি ৪৩তম ব্যাচের টেক্সটাইল ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন বিভাগের শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী শাহীন আলম শান্ত একই হলের ও একই ব্যাচের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের।
সৈকতের বান্ধবীকে অপ্রীতিকর ও শ্রুতিকটু মেসেজ এবং হয়রানিমূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন তার মাথায় আকস্মিক আঘাত করলে এতে মাথা ফেটে যায়। পরবর্তীতে সৈকতের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত শমরিতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈকতের মাথায় সাতটি সেলাই দেয়।
এ ঘটনার পর আহত সৈকত হল প্রভোস্ট ড. সাইদুজ্জামানের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। সেখানে উল্লেখ আছে, ঘটনার একজন ভিকটিম হিসাবে আমি শান্তর সর্বোচ্চ শান্তি (হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও কর্যকরসহ অর্থদন্ড-চিকিৎসা খরচ (ভবিষ্যৎ চিকিৎসার খরচ সহ) মানহানী এবং পরিবারিক ক্ষতিগ্রস্থত প্রায় ২ লাখ টাকা আদায় ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শান্তর। সার্টিফিকেট ও মার্কশিট স্থগিত করার জন্য আনুরোধ জ্ঞাপন করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আজিজ হলের হল প্রভোস্ট ড. মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ নোটিশে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শাহীন আলম শান্তকে সাময়িকভাবে হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করে। এসময় তাকে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার তিন কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। এতে আরও বলা আছে, লিখিত জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা।
আহত সৈকতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার ওপর পরিকল্পিত হামলায় আমি শারীরিক যন্ত্রণা ও মানসিকভাবে ভেঙে পরি। আমি ভিকটিম হিসাবে বুটেক্স প্রশাসন কর্তৃক তার সর্বোচ্চ শাস্তি, মানহানি ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে অভিযুক্ত শাহীন আলম শান্তের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।