তিতাস গ্যাসের পরিচালক হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক তন্ময়

তন্ময় আহমেদ
তন্ময় আহমেদ  © সংগৃহীত

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদ। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে এ পদের দায়িত্বে ছিলেন সাইফুদ্দিন আহমেদ ভূইয়া (নাসির)। তিনিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়া সাইফুদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির (চট্টগ্রাম বিভাগ) সহ-সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে সাইফুদ্দিন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অধীন যমুনা অয়েল কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।

অন্যদিকে নতুন পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়া তন্ময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও সেন্ট্রার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)'র সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

তন্ময়ের শৈশব-কৈশোরের স্বর্ণালী দিনগুলো কাটে পলাশবাড়ীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে। প্রাইমারি পড়ালেখা করেন ‘আইআর প্রি-ক্যাডেট হাইস্কুলে’। হাইস্কুল জীবন শুরু হয় ‘এসএম পাইলট হাইস্কুলে’। অস্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে সফল হন। গাইবান্ধা জেলার মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: ঢাকায় কমেছে গ্যাসের গন্ধ, চুলা জ্বালাতে বাধা নেই

ছোটবেলা থেকেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তন্ময় আহমেদ। চতুর্থ শ্রেণি থেকেই বাবা তাকে ইঞ্জিনিয়ার বানানোর স্বপ্নের কথা বলেন। বাবার প্রেরণাতেই তিনি পড়ালেখা করেন আর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্নকে মনে লালন করেন। তার কলেজ জীবন কাটে রাজধানীর সেন্ট যোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে পাস করেন তিনি।

তারপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সুযোগ পান সিভিলে। ছাত্র জীবনেই তিনি ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ২০১১ সালে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। 

২০১২ সালে বুয়েটে একটা আন্দোলন হয় ভিসির বিরুদ্ধে। জামায়াত অনুসারী ছাত্ররা কিছু সাধারণ ছাত্রকে ভুল বুঝিয়ে এ আন্দোলন করে। ওই আন্দোলনে ছাত্রশিবির ছাত্রলীগের ছাত্রদের ওপরে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়।

ওই আন্দোলনের জের ধরেই ২০১৩ সালে আগস্টের ১০ তারিখে নিজের এলাকা পলাশবাড়ীতে শিবিরের হামলায় গুরুতরভাবে আহত হন তন্ময়। শরীরে এতে ১৩২ সেলাইয়ের মধ্যে শুধু মাথায় ৩৫ সেলাই দেয়া হয়। দীর্ঘদিন রংপুর মেডিকেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে নতুন জীবন ফিরে পান তিনি।

পরে ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের উদ্দেশ্যে দেশে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটে। এসময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এবং গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনেকের উপর প্রাণনাশী হামলা হয় এবং অনেকেই নিহত হন। সেসময় তন্ময় আহমেদের উপরও হামলার ঘটনা ঘটে।


সর্বশেষ সংবাদ