১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:২২

যবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে ‘হাতুড়ি পেটার’ প্রতিবাদে মানববন্ধন 

মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি)পুষ্টি ও খাদ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতকোত্তরের  শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনের উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি সুপারভাইজার বদিউজ্জামান বাদল ও তার সহযোগীদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় যশোর প্রেস ক্লাবের সামনে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল ও কর্মচারী শাহিনুর রহমান সাগরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার সহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই কর্মচারী সন্ত্রাসী বদিউজ্জামান বাদল তার কার্যকলাপের জন্য একাধিকবার বহিষ্কার হয়েছে। ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খলামূলক কর্মকান্ডের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদলকে। বাদলের বিরুদ্ধে হত্যাসহ আদালতে কয়েকটি মামলা চলমান। বারবার সাময়িক বহিষ্কার ও বিভিন্ন মামলার আসামি হয়েও তিনি এখনও স্বপদে বহাল রয়েছেন।

কর্মচারী বাদলকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বক্তারা বলেন, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে যদি বাদলকে স্থায়ী বহিষ্কার না করা হয় তাহলে ঈদের ছুটির পর বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে এতে হামলাকারী ও হামলার মদদদাতারা কেউই রক্ষা পাবে না।

মানববন্ধনে উপস্থিত যবিপ্রবির রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রাশেদ খান বলেন, বাদল ইতিপূর্বে শিক্ষার্থীদের উপর একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। সে মূলত কর্মচারীর মোড়কে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। আমরা অবিলম্বে এই হামলার বিচার চাই এবং বাদলের স্থায়ী বহিষ্কার চাই।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান সুকর্ণ, এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আল জুবায়ের রনি, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী এইচ এম মারুফ হাসান।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার রাতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) গেটের সামনে কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল ও কর্মচারী শাহিনুর রহমান সাগরসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে আবদুল্লাহ আল মামুনকে হাতুড়িপেটা করেন।

ভুক্তভোগী মানুন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে চারশতক জমি ক্রয় করে ফটোকপির দোকান দিয়ে আমি আমার পড়াশোনা খরচ চালায়। এই জমি দখল নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল বিভিন্ন সময় আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে এই জমিতে উঠতে দিবেন না বলে হুমকি দেন বাদল। কোনো ব্যবস্থা না করতে পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে  বিচারক জমিটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। বিষয়টি বাদল জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে রাতে দোকান ও জমি দখল করতে আসে। তাদের বাধা দিলে বাদলের নেতৃত্বে  তারা হাতুড়ি দিয়ে আমাকে মারধর করেন।