প্রতিষ্ঠার ১৭ বছরেও নোবিপ্রবিতে নেই অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন
প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) গড়ে উঠেনি কোনো অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোন প্রতিষ্ঠানে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন না থাকলে প্রাক্তন এবং বর্তমানদের সঠিক সমন্বয় গড়ে উঠে না। যা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধান এবং সেবা উন্নতি অন্তরায় হয়ে দাড়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা বলছেন, অ্যালামনাই এসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস্তব দর্পন। যেখানে প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষর্থীরা সমন্বিতভাবে নিজেদের জীবনের পাথেয় খুঁজে পায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নোবিপ্রবিতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গঠনের তাগিদ তাদের।
তবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে তাদের কার্যক্রম করছেন। যেটা অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে হওয়ার কথা, সেটা তারা নিজেদের উদ্যোগে পরিচালনা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সম্পর্কের বন্ধনগুলো আরও সুদৃঢ় করতে গেল শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত স্ন্যাক্সি রেস্টুরেন্টে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রায় দুইশত জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মিলনমেলা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ মিলনমেলায় ঢাকা ও এর আশেপাশে অবস্থানরত প্রথম ব্যাচ থেকে ১৫তম ব্যাচ পর্যন্ত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ নেন। এসময় আয়োজকরা উপস্থিত সকলের তথ্য সংগ্রহ করে রাখেন। যা পরবর্তীতে ডেটাবেজ হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
আারও পড়ুন: জীববৈচিত্র্য ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকবো: নোবিপ্রবি ভিসি
মিলনমেলায় অংশ নেওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সম্পর্কের বন্ধনগুলো আজীবন দৃঢ় রাখতে এবং ১০১ একরের বাইরে নোবিপ্রবিয়ানদের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ আয়োজন করা হয়েচে। বহুদিন পর সিনিয়র, জুনিয়র ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠে স্মৃতিচারণ এক আনন্দঘন পরিবেশের তৈরি করেছে। মনে হচ্ছে সেই পুরনো দিনগুলো ফিরে পেয়েছি।
ইফতার মাহফিল ও পূর্ণমিলনীর সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী তুষার কান্তি কর বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে নোবিপ্রবির সকল ভাই-বোন আমরা একসাথে চলতে চাই। নোবিপ্রবিয়ান একটি আবেগের জায়গা। সামনের দিনগুলোতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগীতায় একটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানের আরেক সমন্বয়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজীব আহসান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সকল ভেদাভেদ ভুলে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে সবসময় একতাবদ্ধ থেকে কাজ করতে চাই। সেই লক্ষ্যে সকলকে একত্রিত করার এই আয়োজন। আমরা চাই এই আয়োজন আরো বড় হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ড. অতুন সাহা বলেন, একটি শক্তিশালী অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়েরর বর্তমান এবং আগত শিক্ষার্থীদের জীবনমানের এবং শিক্ষার সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারে।
দ্রুত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনে জোর দিয়ে প্রাক্তন এ অধ্যাপক বলেন, সমন্বিত যোগাযোগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী জীবনে দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করা, উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে অনুজদের দিকনির্দেশনা এবং সহজীকরণে ভূমিকা রাখতে পারে। এ এসোসিয়েশন কমন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সবার সঠিক সাহায্য সহযোগিতা নিশ্চিত করতে পারে।