০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৩৬

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তপ্ত যবিপ্রবি

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদে মধ্যরাতে উত্তপ্ত যবিপ্রবি  © টিডিসি ফটো

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(যবিপ্রবি) প্রধান ফটকের সম্মুখ সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীর বহিরাগতদের হাতে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় মধ্যরাতে প্রতিবাদে উত্তাল ছিল যবিপ্রবি ক্যাম্পাস। এ ঘটনায় তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহ্সপতিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৮:৩০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকার বাইরের প্রধান ফটক থেকে ক্যাম্পাসের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের দুই ছাত্রী। এসময় কয়েকজন সাইকেল আরোহী (স্থানীয়) ঐ দুইজন ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ  মন্তব্য ও উত্যক্ত করেন। এরপর এ ঘটনা জানাজানি হলে ইভটিজারদের ধাওয়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সম্মুখে যশোর-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় তাঁরা এ ঘটানর বিচার দাবি করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহযোগিতা নেয় এবং ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করে। 

এরপর পুলিশ তৎক্ষণাৎ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করে। আটককৃত আসামী যশোর সদর থানার সাজিয়ালী গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত আলীর পুত্র জিয়ারুল ইসলাম (২৫); তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকিব ইবনে সাইদ বলেন, আমরা ক্যাম্পাসের সামনে আড্ডারত অবস্থায় ছিলাম। এই ঘটনা তাঁরা (ঐ দুই ছাত্রী) আমাদের জানানোর পরে আমরা ইভটিজারদের ধাওয়া করলে একজনকে ধরতে সক্ষম হই এবং বাকীরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা ক্যাম্পাসের সামনে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করি এবং শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে দুই ঘন্টার মধ্যে পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী বিশেষ করে ছাত্রীরা যেন ক্যাম্পাস এলাকাসহ যশোরের প্রতিটি স্থানে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে—তা নিশ্চিত করে।

এ বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে স্থানীয়রা বাজে মন্তব্য করে ও বাজে ভাষায় কথা বলে। এ কথা জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং পুলিশকে অবহিত করি। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভটিজিং বিষয়ে একটি কমিটি আছে। যদি এমন ধরনের কোনো অভিযোগ আসে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো: তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, জিয়ারুল নামে একজন স্থানীয় ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ইভটিজিং করে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তাঁকে গ্রেফতার করি। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে মামলা রুজু করে আসামীকে আদালতে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট সর্তকতা অবলম্বন করব বলেও জানান তিনি।