২৬ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৭

স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ঈর্ষণীয়: পবিপ্রবি ভিসি

পবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত  © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ঈর্ষণীয়। রবিবার (২৬ মার্চ) ৫৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্জন ও তা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকের ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।

বিবৃবিতে তিনি বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সব সময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার সে স্বপ্ন বাস্তিতবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বাংলাদেশের অর্জন আজ ঈর্ষণীয়। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। প্রবৃদ্ধি ও শিক্ষার হার বেড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। গ্রামগুলো শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, দারিদ্র্যের হার কমছে। জাতীয় জীবনে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাণিজ্য, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

কৃষির উন্নয়নের সুবাদে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব ও খেলাধুলা, নারী ও শিশু, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাফল্য অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে বিচরণ করছে। তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিক, জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ বেসরকারি খাতে ব্যাপক প্রভূত উন্নতি  হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের এক অনন্য মাইলফলক নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ৩৯টি হাইটেক পার্ক, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২, গভীর সমুদ্রবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল, এক্সপ্রেসওয়ে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ-কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উন্নয়নের এই ধারা শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক নয়, এর ছোঁয়া লেগেছে গোটা বাংলাদেশে।

বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মতো অবহেলিত এলাকায় পায়রা বন্দর, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও শেখ হাসিনা সেনানিবাস স্থাপন এবং শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু, শেখ কামাল সেতু, শেখ জামাল সেতু, শেখ রাসেল সেতু ও সর্বশেষ লেবুখালী সেতু নির্মাণ এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে যুগান্ভূতকারী ভূমিকা রাখছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।তিনি আশা করছেন খুব দ্রুত বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবেন।

এছাড়াও বিবৃতিতে স্বাধীনতা রক্ষায় সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে আমাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। উন্নয়নকে জনমুখী ও টেকসই করতে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। এই অর্জনকে সম্পূর্ণ করতে হলে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে, স্বাধীনতার চেতনাকে আলিঙ্গন করতে হবে। সেজন্য এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রেরণ করা উচিত।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাই। আসুন আমরা সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।