সাত লাখ টাকা ‘ঋণ করে’ নাসায় যাচ্ছে শাবিপ্রবির টিম অলীক
২০১৮ সালে নাসার আন্তর্জাতিক স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্বের ১ হাজার ৩৯৫টি টিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করে চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম অলীক। এরই প্রেক্ষিতে পরের বছর প্রজেক্ট উপস্থাপনের নিমন্ত্রণ পেলেও ভিসা জটিলতায় নাসার প্রোগ্রামে যেতে পারেননি তারা।
তবে সে নিমন্ত্রণ বর্ধিত করে নাসার হেডকোয়ার্টার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আগামী ১৫-১৬ মার্চের অপর একটি প্রোগ্রামের যোগদানের আহ্বান জানায় সংস্থাটি। তবে যাতায়াতের ফান্ড সংগৃহ না হওয়ায় এবারও পণ্ড হতে চলেছিল অলীকের নাসাযাত্রা। ফলে বাধ্য হয়ে প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋণ করে সেখানে যেতে হচ্ছে তাদের।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নয়া শতাব্দীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টিম অলীকের সদস্য এসএম রাফি আদনান। তিনি বলেন, আজকে ঋণ করে আমরা ১২ তারিখ রাতের টিকিট বুকিং দিয়েছি। আমরা যাচ্ছি এটা নিশ্চিত। এছাড়া আমেরিকার বাঙ্গালি কমিউনিটি আমাদেরকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নার্সিংয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ১৫ মার্চ, পরীক্ষা ১৯ মে
জানা যায়, ২০১৮ সালের প্রতিযোগিতায় অলীকের লুনার ভিআর অ্যাপ্লিকেশন প্রজেক্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। এতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিসম্পন্ন এমন এক অ্যাপ্লিকেশন জুড়ে দেয়া হয় যা স্মার্ট ফোনে ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এ কাজে নাসার বিভিন্ন থ্রিডি মডেল ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে অলীক।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জনের পর ২০১৯ সালে ২১ জুলাই আর্থ সায়েন্স ডিভিশন ফ্লোরিডার নাসা কেনেডি স্পেস সেন্টারে তিন দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে নিজেদের প্রজেক্ট উপস্থাপনের জন্য তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সময়মতো ভিসা না পাওয়ায় তাদের কেউই সেখানে যেতে পারেননি। ফলে এবার আবারও তাদেরকে সে প্রজেক্ট উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে নাসা।
দ্বিতীয়বার আমন্ত্রণ পেয়ে অলীকের ৫ সদস্যদের প্রত্যেকেই আগ্রহ নিয়ে সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জের লোকাল অর্গানাইজার ‘বেসিস’ যাতায়াতে প্রয়োজনীয় মোট ৭ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবারও ভেস্তে যেতে বসেছিল তাদের নাসাযাত্রা।
স্পন্সর জোগাতে গতকাল বুধবার নিজেদের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিল টিম অলীক। সেখানে স্পন্সরকারী অলীকের অফিশিয়াল পার্টনার হিসেবে স্বীকৃতি পাবে এবং পাশাপাশি ব্র্যান্ডিং ও এক্সপোজার পাবে বলে উল্লেখ করেন তারা। এর আগে নিজেদের তাগিদে বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেও ফান্ড সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন তারা।