০৫ মার্চ ২০২৩, ১৫:১৪

সৌন্দর্যবর্ধন ও স্টাডির নামে পবিপ্রবিতে আফিম চাষ!

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে নিষিদ্ধ পপি ফুলের গাছ  © টিডিসি ফটো

সৌন্দর্যবর্ধন ও স্টাডির নামে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) নিষিদ্ধ পপি ফুল (আফিম গাছ) চাষের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে রয়েছে নিষিদ্ধ এই পপি ফুলের গাছ। ফুল ঝরে প্রায় সব গাছেই ফল ধরেছে।

তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ জাহিদ হাসান দাবি করেন সৌন্দর্যবর্ধন ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অংশ হিসেবে এই ফুলের চাষ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের প্রফেসরের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম এটা হল Ornamental flowering plant. হর্টিকালচার বিভাগের Floriculture বিষয়ের ছাত্রদের কোন কোন ফুলগুলো ornamental তা চেনানো হয়। 

হর্টিকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহবুব রব্বানী দাবি করেন, এটি পপি ফুল হলেও এগুলো থেকে আফিম উৎপন্ন হয় না।

তিনি আরও বলেন, এক প্রকারের পপি থেকে ড্রাগ উৎপাদন হয়, আর অপর একটি জাত রয়েছে যা থেকে ড্রাগ উৎপাদন হয় না। আমাদের ক্যাম্পাসে যেটা চাষ করা হয় সেটায় ড্রাগ উৎপাদন হয় না। এটা আমরা লেখাপড়া ও সৌন্দর্যবর্ধনে দীর্ঘদিন ধরেই চাষ করছি। 

একই বিষয় উল্লেখ করে রেজিস্ট্রার (অ. দা.) প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, এটা প্রতি বছরই সৌন্দর্যবর্ধন ও স্টাডি পারপাসে স্বল্পপরিসরে আমরা প্লান্টিং করি। এতে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে নেই। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পটুয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে চিকিৎসায়, গবেষণায়, শিল্পকারখানায় ও ঔষধে ব্যবহার করা যাবে।

উল্লেখ্য, পপি গাছের ফল থেকেই তৈরি করা হয় আফিম। ভারত ও আফগানিস্তানে এই রস থেকে মরণনেশা হেরোইনও তৈরি করা হয়। আর এ কারণেই দেশে পপি ফুলের চাষ নিষিদ্ধ।