০২ মার্চ ২০২৩, ০০:১৭

উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি অনুদান নেই বললেই চলে: নোবিপ্রবি ভিসি

  © টিডিসি ছবি

বর্তমান বিশ্বে ইন্ডাস্ট্রির সাহায্য ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। তার প্রমাণ হচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারি অনুদান নেই বললেই চলে। তার ঠিক উল্টোটা আমাদের দেশে। আমরা সম্পূর্ণ সরকারি অনুদানে চলি বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদারুল আলম।  

বুধবার (১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মো: ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে নোবিপ্রবি বিজনেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৩' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, আমাদের সিলেবাসগুলো সম্পূর্ণ থিওরিটিক্যাল। যার ফলে পাশ করার পর চাকরি প্রতিযোগিতায় অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভয় ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। 

বিজনেস ক্লাব সকল শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়ায় সেটি চাকুরীপ্রত্যাশীদের জন্য কল্যাণজনক হবে বলে  জানিয়েছেন তিনি।

ব্যবসায় অনুষদের চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এস. এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল বাকী। এছাড়াও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, সকল বিভাগ হতে আগত শিক্ষার্থী, আবুল খায়ের গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ ও প্রাণ কোম্পানির কোম্পানির প্রতিনধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

উপ-উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো কাজ থাকে। ভালো মানুষ গড়ে তোলা, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতা বাড়াতে পারে। আমরা আশাবাদী  বিজনেস ক্লাবের মাধ্যমে তা অর্জন কর সম্ভব হবে। নতুনদের জন্য তারা ক্যাম্পেইন চালু করবে এবং তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করবে।

সংগঠনটির সভাপতি কাজী আল আমিন বলেন, নোবিপ্রবি ঢাকা হতে দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও কোম্পানি গুলো সাড়া প্রদান করায় আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি উপকৃত হবে। প্রথমবারের মতো তিনটি কোম্পানি আসলেও ভবিষ্যতে ৩০টির অধিক আসবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই ফেস্টিভ্যাল এ প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন চাকুরীপ্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। ১ হাজার ৭০০ জন চাকুরীপ্রার্থী র জীবনবৃত্তান্ত থেকে শর্টলিস্ট করে পরবর্তীতে ভাইভার জন্য ডাকা হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস. এম মাহবুবুর রহমান বলেন, সংগঠনটির কার্যক্রম প্রশংসা মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রোগাম আয়োজনে উৎসাহ প্রদান করেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, গ্র্যাজুয়েট, অ্যাফেয়ার্ড এবং শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সিভি সংগ্রহের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদেরকে পরবর্তী পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে।