ভালোবেসে বিয়ে, বছর না যেতেই ভাড়া বাসায় মিলল বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রীর মরদেহ
ভালোবেসে পরিবারকে না জানিয়ে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রী রিক্তা খানম ওরফে নোভা। বছর না যেতেই গোপালগঞ্জের নবীনবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় মিলল ওই ছাত্রীর মরদেহ। আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নোভা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভালকি গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে তিনি। এ ঘটনায় তার স্বামী ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাসেল মণ্ডলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি একই জেলার মহেশপুর উপজেলার ঘোষপুর গ্রামের মো. আবুল কাসেমের ছেলে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো: আবু সালেহ বলেন, আমরা দুপুর ৩টার দিকে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রক্টিরিয়াল টিমসহ ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
স্বামী রাসেল মণ্ডল বলেন, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভালোবেসে পরিবারকে না জানিয়ে নোভা ও রাসেল একে অপরকে বিয়ে করেন। পরে মার্চ মাস থেকে তারা নবীনবাগ এলাকায় ওই ভাড়া বাসায় প্রায় এক বছর বসবাস করে আসছিলেন। কয়েকদিন হলো অন্য একটি মেয়ে তার (রাসেল) মোবাইলফোনে ম্যাসেজ ও ফোন দিয়ে বিরক্ত শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে স্ত্রী নোভার সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়।
রাসেল আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কোচিং করানোর জন্য বাসা থেকে বের হন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে গেট খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পান, কক্ষের দরজা খোলা। তখন ভেতরে ঢুকে দেখেন স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তখন স্ত্রীর ফাঁস খুলে নামান তিনি।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল আহমেদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী রাসেলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্ক থাকার কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তবে মর্গের রিপোর্ট দেখে প্রকৃত কারণ জানা যাবে- এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।