প্রয়োজনে থানা ঘেরাও করা হবে: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম. মাহবুব বলেন, আমরা অচিরেই এটা নিয়ে প্রশাসনের কাছে যাব। বিচার নিশ্চিতে আমরা আবারও মানববন্ধন করব, প্রয়োজনে থানা ঘেরাও করব।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্দির সংলগ্ন গেটে মানববন্ধন অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার,রেজিস্ট্রার, প্রক্টর সহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।
প্রফেসর ড. একিউএম. মাহবুব আরও বলেন, আমি সত্যিই খুবই দুঃখিত যে গত বছরও আমাদের এক কোমলমতি মেয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে তবে বিচার এখনও প্রক্রিয়াধীন আছে। এবার ফের টিউশনির প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন বাসায় তাকে ডেকে নেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অভিযুক্ত একজন আইনজীবী। ভবিষ্যতে সে বিচারক হবে। তার কাছ থেকে একটা ঘটনা আমরা আশা করি নাই। তাও আবার জাতির পিতার পূণ্য ভূমি গোপালগঞ্জে।
আরও পড়ুন: ঢাবি-চবি-জাবিসহ বিভিন্ন ইউনিটের ২১ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করল ছাত্রলীগ
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একজন আইনজীবী হয়েও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা সবাই চাই তার এমন একটা দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হোক যাতে পরবর্তীতে এমন কাজ করার ভাবলেই যেন গা শিউরে ওঠে।
কোষাধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. মো: মোবারক হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর পূণ্যভূমিতে এমন একটা ঘটনা ঘটবে এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমি আশা করবো প্রশাসন একটা সুষ্ঠু বিচার করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সাইফুল ইসলামের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রীকে টিউশন দেওয়ার কথা বলে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন গোপালগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের (অভিযুক্তের আইডিকার্ড মোতাবেক) এ্যডভোকেট আলমগীর হোসেন। এ ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবির উপ-রেজিস্ট্রার মো: মোরাদ হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি এজহার দায়ের করেছেন।