‘ঘটনাস্থলে না গিয়েই মন্তব্য করেছেন প্রক্টর’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে পবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কিছু বিষয় এবং স্থানীয় কিছু বিষয় নিয়ে রাতে হলে উত্তেজনা হয়েছিল। পরে সহকারী প্রভোস্টদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেছি। এখন সবকিছু শান্ত রয়েছে।
অপরদিকে এ বিষয়ে পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান তারেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংঘর্ষের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তারেক বলেন, “এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রক্টর ঘটনাস্থলে না গিয়েই মন্তব্য করেছেন।”
তবে, ঘটনার ভিডিও এবং তথ্য প্রমাণ রয়েছে জানালে তিনি বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীরা করতে পারে এবং এর সাথে ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
এদিকে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যানুযায়ী ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে পবিপ্রবি শেরে বাংলা হলে শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। এসময় হলের কয়েকটি রুমে ভাঙচুর করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠান শেষে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান তারেকের সামনে এসে ধূমপান করেন শামীম নামের এক জুনিয়র। এসময় তারেকের এক অনুসারী এসে ধূমপান করার অপরাধে শামীমকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এরপর শামীমের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠীদের সঙ্গে মেহেদি হাসান তারেকের অনুসারীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। শামীম ও তার সহপাঠীরা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগরের অনুসারী।
ঘটনার বিষয়ে জানতে রাত সাড়ে ১২টার পর পবিপ্রবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুর সঙ্গে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। এসময় তিনি বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তো কি হয়েছে? সাংবাদিকদের এতো রাতে ফোন কেন? সকালে ‘ফোন’ দেওয়া যেত না বলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করেন। এরপর ড. সন্তোষ কুমার বসু ফোন কেটে দেন।