মাভাবিপ্রবিতে মাদকসহ ৩ বহিরাগত আটক
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) দুই নারী ও এক পুরুষসহ তিন বহিরাগত ব্যক্তিকে আটক করেছে মাভাবিপ্রবি প্রক্টর অফিস। এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তলা একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত তিনজন হলেন মো: মাসুদ, রানী চৌধুরী এবং জিয়ারা রহমান। তাদের মধ্যে মো: মাসুদ টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ার ছোট কালিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়,আটকের পর মহিলা দুইজনকে জিজ্ঞেসাবাদ করে অঙ্গিকারনামায় স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং মাসুদকে কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪.৩০ টার দিকে আটককৃত তিনজন একটি পাজেরো কার নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রথম গেইট দিয়ে ৬০+ গতি নিয়ে প্রবেশ করেন। এসময় গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক, অপর এক শিক্ষকের সন্তান ও সাধারণ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের চাপা দিতে গেলে কোনমতে তারা রক্ষা পায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা ঘটনাটি প্রক্টরকে জানান।
এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবির প্রক্টর ড. মীর মো: মোজাম্মেল হক বলেন, “ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তলা একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে দেখি মাসুদ নামে এক বহিরাগত মদ্যপ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি ও আধা লিটার মদসহ তাদেরকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “ভাইস - চ্যান্সেলর স্যারকে ঘটনাটি জানালে তিনি আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষিতে কাগমারি পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায় বহিরাগত মাসুদকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। একইসাথে পুলিশ কাগজপত্র বিহীন পাজেরো গাড়ি এবং উদ্ধারকৃত মদও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।”
এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সকলের সহযোগিতা চেয়ে প্রক্টর বলেন, “পরবর্তীতে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় এসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”