ছাত্রীদের মিছিলে প্রভোস্টের বাধা, প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগের মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহীদ মসিয়ূর রহমান হল থেকে একটি মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা হলের সামনে অবস্থান নেন। এসময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
যবিপ্রবির শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগ কর্মী স্বর্ণা ইয়াসমিন বলেন, ‘যবিপ্রবিতে দীর্ঘদীন ছাত্রলীগের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বর্তমানে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হয়েছে। এরই প্ররিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করবার উদ্দেশ্যে রাত আনুমানিক ৯.৩০ ঘটিকায় একটি মিছিলের আয়োজন করি। আমরা কাউকে জোরপূর্বক মিছিলে আসতে বাধ্য করিনি। এরই মধ্যে বামপন্থী কিছু মেয়ে প্রভোস্টকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে চলে আসেন এবং মিছিলে বাধা প্রদান করেন।’
ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘প্রভোস্ট জানান এই হলে কোন মিছিল হবে না। তিনি আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং মিছিল আয়োজনের জবাবদিহিতা চান। পরবর্তীতে হল প্রভোস্ট আমাদের কাছে এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এর পরে ছাত্রলীগের কার্যক্রমে কোন প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না এমন আশ্বাসও দেন।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, ’আমরা যখন মিছিলে বাধাপ্রদান করার খবর পাই তখনই আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনা হলের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করি। এ ব্যাপারে আমাদের দাবি ছিল কোন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় যদি জয়বাংলা স্লোগান দিতে চায় তবে হল প্রশাসন কোনো প্রকার বাধা প্রদান করবে না- যা পরবর্তীতে হল প্রশাসন মেনে নিয়েছে। এতে আমরা অনেক খুশি।’
আরও পড়ুন: দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সিকৃবি ছাত্রলীগকে শোকজ
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ’শেখ হাসিনা হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা যখন একত্রিত হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে তখন হল প্রভোস্ট এসে বাধা প্রদান করে যেটা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাবে।’
এ ঘটনায় শেখ হাসিনা ছাত্রীহলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার বলেন, ’ঘটনাটি যেভাবে প্রচারিত হয়েছে আসলে সেইরকম কিছুই ঘটেনি। আমি জানতাম না যে তারা মিছিল করবে। আমার কাছে বলেছে যে তারা জড়ো হয়েছে এবং ছাত্রীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। একারণে তাদেরকে আমি নিয়মের মধ্যে কার্যক্রম চালাতে বলি। মিছিলে বাধা দেয়ার কথা আমি কখনোই বলিনি।’