পবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: মামলার আসামি শিক্ষার্থীসহ ৫০ জন
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। পবিপ্রবি'র নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ মুকিত মিয়া বাদী হয়ে রোববার মামলাটি করেন। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইন,১৮৬০ এর ১৪৩, ৩২৩ ও ৩২৫ ধারায় মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামীদের এক থেকে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হতে পারে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম গেটে পরিবহন শাখার সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ও কতিপয় ৪০-৫০ জন স্থানীয় শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহিরাগত দুষ্কৃতিদের সঙ্গে নিয়ে লাঠি, লোহার রড ও ইট পাটকেল নিয়ে অতর্কিত হামলা করে।
আরো পড়ুন: ভেঙে ফেলা হলো কুবির প্রতিষ্ঠাকালীন ফটক
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. মেহেদী ইসলাম (সেশন ২০১৬-১৭), মো. জাহিদ হাসান (২০১৭-১৮), রাকিবুল হাসান রায়হান (২০১৭-১৮), সোহেল রানা (২০১৮-১৯), আরিফ আল মাহমুদ (২০১৭-১৮), অলিউল ইসলাম নাবিল (২০১৬-১৭), সৈয়দ হাসান ইকবাল (২০১৬-১৭), এনামুল জাহান ইফতি (২০১৭-১৮), জাহাঙ্গীর আলম (২০১৮-১৯), ইমরানসহ (২০১৮-১৯) অনেক ছাত্র গুরুতর জখম হয়।
ঘটনার সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন- প্রক্টর অধ্যাপক ড. কুমার বসু (৪৮), সহকারী প্রক্টর শাহ মাহমুদ সুমন (৩০), মো. আশরাফুল আলম (৪০), সহকারী প্রভোস্ট ডি-১ শের-ই-বাংলা হল-১ সৌদবিন আলম (৩৫), সহকারী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. ফয়সাল (৩৫), সহকারী প্রক্টর আব্দুল্লাহ আল হাসান, সহকারী প্রভোষ্ট ডি-১ শের-ই বাংলা হল নিউটন সাহা (৩৫)। এ ছাড়া আরও অনেক সাক্ষী আছেন বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির জন্য আয়োজিত আনন্দ মিছিল ও পথসভায় এ বিবাদের সূত্রপাত ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফটকে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।