১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৩২

হেমন্তের নবান্ন উৎসবে মাতলো পবিপ্রবি 

হেমন্তের নবান্ন উৎসবে মাতলো পবিপ্রবি   © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে নবান্ন পিঠা উৎসব। এবারের পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে বানানো বাঙ্গালির ঐতিহ্যবাহী অর্ধশতাতিক রকমের পিঠার পসরার দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টায় পবিপ্রবির ব্যবসায় প্রসাশন অনুষদের ‘অরোধ্য-১৬’ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আয়োজন করে হেমন্তের এই পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

পিঠা উৎসবে কয়েকটি স্টল এসব বাহারি প্রজাতির পিঠা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এসব পিঠা বাঙ্গালী জাতির নানা সম্প্রদায়ের নিজেদের সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।

পবিপ্রবির ব্যবসায় প্রসাশন অনুষদের ডীন মহোদয় প্রফেসর মো আবুল বাশার খান এ উৎসব সম্পর্কে বলেন, আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থী বাঙালির  সংস্কৃতি ধারণ করে পিঠা উৎসবে অংশ গ্রহণ করেছে এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। করোনা পরবর্তী স্থবির ক্যাম্পাসে এ পিঠা উৎসব এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন যেন নতুন এক প্রণের সঞ্চার করলো।

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ হাসান সোহান বলেন, অনেক দিন পর ক্যাম্পাসে এরকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করাতে ক্যাম্পাসে যেন প্রাণের চাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে। ক্যাম্পাসের এ উৎসবের মাধ্যমে আমরা হেমন্তের উৎসবকে যথার্থতার সাথে বরন করবো।

আরও পড়ুন: ১০ স্টলে ৮০ রকমের পিঠা উৎসবের আয়োজন করল চবি

অনুষ্ঠানে বাহারি পিঠা-পুলির প্রদর্শনে ভীড় করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। দর্শকরা এমন আয়োজনে আসতে পেরে তাদের উচ্ছাসের কথা ব্যক্ত করেছেন গণমাধ্যমের কাছে। ভবিষ্যতে এভাবেই এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপস্থিত সকলে।

সন্ধ্যায় পবিপ্রবির ছাত্র নেতৃবৃন্দ মো. আরাফাত ইসলাম খান সাগর এবং মো. মেহেদি হাসান তারেককে সংবর্ধনা দেওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় হেমন্তের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীর গাওয়া গানে মুখরিত ছিল পুরো ক্যাম্পাস। সকলের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে সফলভাবে পালিত হয় এই হেমন্তের নবান্ন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।