‘আগামী বছর থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোডিং শিখবে’
আগামী বছর জানুয়ারি থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোডিং শেখানো হবে। ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সের বাচ্চারা বয়স অনুযায়ী খেলতে খেলতে কোডিং, ডিজাইন ও এনিমেশন শিখবে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামে আয়োজিত ‘মতবিনিময়, উদ্ভাবন ও শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব প্রয়োগের জ্ঞানই শুধু শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন নয়, গবেষণার জন্যেই ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমির লিংকেজ বা মেলবন্ধন ভীষণভাবে জরুরি। বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইন্ডাস্ট্রির জন্য উদ্ভাবন করে এবং সেখান থেকেই তাদের অধিকাংশ ফান্ড আসে। যবিপ্রবিতেও এ ধরনের কার্যক্রম অনেক বেশি সম্ভব। এখানে বড় ধরনের ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে স্টার্ট-আপ শুরু করে সেখান থেকে বড় সাপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ সকালে মাত্র তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে যশোর এসেছি। এটি এক সময় অকল্পনীয় ছিল। এটি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণে। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা লাগছে না। এখানে যারা সবজি কিংবা ফুল উৎপাদন করছেন, তাদের আর ফেরির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা লাগবে না, কষ্টও হবে না।
বিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সেলিনা আক্তার, উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ এমদাদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব।
অনুষ্ঠানে উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানের জন্য যবিপ্রবির শিক্ষক ড. মো. জাভেদ হোসেন খান ও ড. মো. আমিনুল ইসলাম; শুদ্ধাচার পুরস্কারে শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ড. সেলিনা আক্তার ও ড. মো. মুনিবুর রহমান; কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে রানা সিংহ ও মো. রোকনুজ্জামান এবং কর্মচারী ক্যাটাগরিতে বৈশাখী রায় ও মো. নাসিম রেজাকে ফুল, ক্রেস্ট, চেক ও সনদ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।