চার বছর পর হাবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত হবে প্রীতিভোজ
দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের বেশি সময় অপেক্ষার পর দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ( হাবিপ্রবি ) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রীতিভোজ ( হল ফেস্ট) । করোনা মহামারি সহ নানাবিধ কারণে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে চলেছে । বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ রাসেল হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘হল সুপার কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা আগামী ৫ ডিসেম্বর পৃথক পৃথক হলে প্রীতিভোজের আয়োজন করতে চলেছি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান মহোদয় সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করায় আমরা তাঁর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । প্রীতিভোজ উপলক্ষ্যে রেজিস্ট্রোশন ফি মাত্র একশত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা চাই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হোক।’
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হল সুপার ড. মো. হাসানুর রহমান বলেন, ‘আমরা আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর বিকাল তিনটায় হাবিপ্রবির অডিটোরিয়াম-২ এ অন্তঃহল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য সকল হলের বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিবেন। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কারণে এবারের প্রীতিভোজ উপলক্ষ্যে কেবলমাত্র পৃথক পৃথক ভাবে হল গুলি সাজানো হবে ( আর্থিক ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে)। তবে আলোকসজ্জা কিংবা বিদ্যুৎ অপচয় হবে এমন বিষয়গুলি পরিহার করা হবে।’
এদিকে হাবিপ্রবির হল সুপার কাউন্সিল দীর্ঘদিন ধরে সব হল একসাথে প্রীতিভোজের আয়োজন করার পরিকল্পনা করলেও নানা কারণে সেটি আলোর মুখ দেখেনি। বৃহঃপতিবার (২৪ নভেম্বর ) সর্বশেষ সভায় বিষয়টি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হলে পৃথক পৃথক হল এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। শিক্ষার্থীরা আগামী ৩০ নভেম্বর রাত ১২ টা পর্যন্ত প্রীতিভোজের রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে হল অফিস সমূহে।
প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ - জোহরা। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের পর থেকে আমরা এমন আয়োজন আর পাইনি । তবে এই আয়োজনটি প্রতিবছর করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দিপনা সৃষ্টি হবে। যা মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি।’
উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের ২২ মার্চ সর্বশেষ ছয়টি হল একই দিনে বার্ষিক প্রীতিভোজের আয়োজন করে। এরপর মেয়েদের তিনটি হল বিভিন্ন সময় প্রীতিভোজ আয়োজন করলেও ছেলেদের হলে আর্থিক সমস্যাজনিত কারণে এমন আয়োজন থেকে বঞ্চিত হয় ছেলে শিক্ষার্থীরা। তবে এবছর প্রীতিভোজে অংশ নিচ্ছে হাবিপ্রবির সাতটি আবাসিক হল।