ফারদিনকে লেগুনায় তোলা দুই ব্যক্তি শনাক্ত (ভিডিও)

ফারদিন নূর পরশ
ফারদিন নূর পরশ  © ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে লেগুনায় তুলে দেওয়া এবং বহন করা দুই ব্যক্তিকে নিয়ে ব্যাপক রহস্য তৈরি হয়েছিল। অবশেষে তাদের পরিচয় মিলেছে। তাদের নাম জনি ও স্বপন, দুইজনই লেগুনা চালক। তাদের নিয়ে যে অজানা রহস্য তৈরি হয়েছিল, তাদের সঙ্গে কথা বলে এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে।

গণমাধ্যমকে তারা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত আড়াইটার দিকে বিশ্বরোডে নামেন ফারদিনসহ লেগুনার দুই যাত্রী। বাকিরা নামেন শেষ স্টপেজ বরপায়। ফারদিন হত্যায় এই দুই চালকের সম্পৃক্ততা পায়নি ডিবি।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর লেগুনা স্ট্যান্ডে সিসিটিভি ফুটেজে ৫ নভেম্বর রাত ২টা ৩ মিনিটে সবশেষ একটি লেগুনায় উঠতে দেখা যায় বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে। এরপর থেকেই সেই লেগুনার চালক ও লেগুনায় উঠিয়ে দেয়া সাদা গেঞ্জি পড়া ব্যক্তির খোঁজে নামেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: ভাড়া দেওয়াশেষে রিকশাওয়ালাকেও ধন্যবাদ দিতো ফারদিন

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী গিয়ে দেখা যায় লেগুনার চালকের আসনে বসে আছেন একজন। আরেকজন যাত্রী তুলছেন। দুজনই লেগুনা চালক। ৫ নভেম্বর রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনকে লেগুনায় তোলেন জনি। আর লেগুনা নিয়ে বরপা যান স্বপন।

স্বপন জানান, ফারদিনসহ ছয় যাত্রী নিয়ে সেদিন রওনা দেন তিনি। যাত্রী কম থাকায় ৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নেন তারা। বিশ্বরোডে লেগুনা থেকে নামেন ফারদিনসহ ২ জন। বাকি ৪ যাত্রী যান বরপায়।

ডিএমপি গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলছেন, ফারদিন ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারে নয়, নামেন তারাবো বিশ্বরোডে। তার মোবাইলের সবশেষ লোকেশনও চনপাড়া নয়, বিশ্বরোডের আশপাশেই।

এর আগে গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে ফারদিনের বান্ধবী বুশরাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বুশরাকে গ্রেফতারের পর ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডের শেষে ইতোমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার কাছ থেকে খুনের বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে ডিবি জানায়। [সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি]


সর্বশেষ সংবাদ