আইডি কার্ড নিয়ে ভোগান্তিতে হাবিপ্রবির ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

সুমাইয়া নূর লিরা হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। কৃষি অনুষদে ২য় সেমিস্টারের ক্লাস চলছে তার। প্রথম বর্ষের শেষ প্রান্তে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রাপ্য আইডি কার্ড হাতে পাননি তিনি। আইডি কার্ড না থাকায় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাবৃত্তিও হাতছাড়া হয়েছে তার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে পরিচয় দিতে গিয়ে নিয়মিত বিব্রত হতে হয় তাকে।

শুধু লিরা নন। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের কোন শিক্ষার্থী তাদের আইডি কার্ড হাতে পাননি। এভাবেই তারা ক্লাস করছেন, অংশগ্রহণ করছেন পরীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১তম ব্যাচের ভর্তির প্রায় ১ বছর হতে চললেও কাঙ্ক্ষিত আইডি কার্ড প্রদান করেনি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

আরও পড়ুন: যিনি অভিযোগকারী, তিনিই বিচারক: শোকজের ব্যাখ্যায় চবি অধ্যাপক

সম্প্রতি অন্যের স্টুডেন্ট আইডি নম্বর ব্যবহার করে ৪ বছর ধরে হলে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের বিষয়টি সংবাদপত্রে ফাঁস হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থী মিম বলেন, ভর্তি হলাম। এর মাঝে সেমিস্টার ফাইনাল দিয়ে পরের সেমিস্টারে উঠলাম। এখনো আইডি কার্ড পাইনি। আর কবে পাবো? না জানি আমাদের ব্যাচেও কেউ অন্যের হয়ে ক্লাস-পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছে কি না!

রাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। বাসে যাতায়াতে হাফ পাস সুবিধা আছে যা একজন কলেজ বা প্রাইভেটে পড়ুয়ারাও নেয় অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়েও আমাকে ফুল ভাড়ায় যেতে হয়। তাছাড়া শহরের বিভিন্ন যায়গায় ঢুকতে স্টুডেন্ট আইডি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে তখন তো আর বলতে পারি না যে, এখনো স্টুডেন্ট আইডি কার্ড পাইনি!

এছাড়াও ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কার্ড করতে, প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল একাউন্টসহ নানা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড এক অন্যতম নিয়ামক। যার ফলে এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচ পুরোপুরি বঞ্চিত বলে জানিয়েছেন তারা। ভর্তির ১১ মাস পরেও কোন শিক্ষার্থী আইডি কার্ড না পাওয়ায় বিস্মিত তাদের অভিভাবকরাও।

এবিষয়ে ছাত্র পরামর্শ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'কাজ চলমান আছে, আগামী সপ্তাহ থেকে বিতরণ শুরু করতে পারবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।'


সর্বশেষ সংবাদ