ক্যান্টিনে শিক্ষার্থীরা কী খাচ্ছেন, বুটেক্স প্রশাসনের নজর নেই
নানা অনিয়ম ও অভিযোগের মধ্যে অবৈধভাবে ক্যান্টিন চলছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ক্যাম্পাসে। ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে থাকলেও অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যান্টিনে বসার পরিবেশ নেই। নিয়মিত পাওয়া যায় না খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে করা হয় রান্না।
কি খাচ্ছে শিক্ষার্থীরা? ক্যান্টিনের খাবারের দাম বা মান কোথায় যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। প্রশাসনের এই বেখেয়ালিপনা বিপাকে শিক্ষার্থীরা।
ক্যান্টিনে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুটেক্সের ক্যান্টিন চলছে এলোমেলোভাবে। ছড়ানো ছিটানো কিছু টেবিল আর প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায়। ছোট্ট কক্ষটির একটি অংশজুড়ে রান্নাঘর আর ঠিক সামনে খাবার পরিবেশনের টেবিল। সামনে গাদাগাদি করে বসানো ৫ টা ছোট ছোট টেবিল- যেখানে একসাথে ১৫-২০ জনের বেশি ছাত্রের সংকুলান হয়না।
আরও দেখা যায়, সেখানে খাবার হিসাবে রয়েছে খিচুড়ি-ডিম আর পরটা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিন শুধু সাদা ভাত, বয়লার মুরগী আর খিচুড়ি পাওয়া যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুপুরের আগেই খাবার শেষ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যান্টিনে বসার পরিবেশ নেই। নামেমাত্র খাবার পাওয়া যায়, বেশিরভাগ সময়ই খাবার থাকেনা। প্রায়ই ক্যান্টিন বন্ধ থাকে এবং ক্যান্টিন থেকে খাবার মালিকানাধীন বাইরের রেস্টুরেন্টে পাঠানো হয় বরেও অভিযোগ তাদের।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাল কোনো রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিতে হবে এবং ক্যান্টিনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববিদ্যালয়কে রাখার পাশাপাশি নিয়মিত তত্ত্বাবধানও করতে হবে।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কিভাবে ক্যান্টিন চলছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যান্টিনের ম্যানেজার নাজমিন নাহার কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তবে বিশেষ কিছু জানতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিপু বলেন, এটা প্রশাসনিক ব্যাপার। তবে ছাত্রলীগ সবসময় ছাত্র প্রতিনিধি হিসাবে ছাত্রদের সকল সমস্যার পাশে আছে।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী জানান, ক্যান্টিন তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব আমাদের হাতে নেই, রেজিস্ট্রার অফিস এটি দেখভাল করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ শরিফুর রহমান বিনা চুক্তিতে ক্যান্টিন চলমান থাকার কথাটি স্বীকার করেন এবং দ্রুতই চুক্তি নবায়ন করা হবে বলে জানান। তবে চুক্তি ছাড়া কিভাবে ক্যান্টিন চলছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।