ফারদিনের মৃত্যু: ইস্ট ওয়েস্টের সেই বান্ধবীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ নিখোঁজ হওয়ার আগে তার সঙ্গে থাকা বান্ধবীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার আগে রাজধানীর রামপুর এলাকায় তিনি তার এক বান্ধবীকে বাসায় যাওয়ার জন্য নামিয়ে দেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন ফারদিন।
নিখোঁজের তিন দিন পর সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এদিকে, ফারদিনের শেষ অবস্থান (লোকেশন) পাওয়া গেছে কেরানীগঞ্জে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা তার দুই বন্ধু-বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ৪ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে ওই বান্ধবী ও পরশের সাক্ষাৎ হয় সিটি কলেজের ওখানে। এরপর তারা রিকশায় করে ইয়ামচা নামের একটি রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছে। সেখান থেকে রিকশায় করে তারা নীলক্ষেতে যেয়ে একটা বই কিনেছে। সেখান থেকে রিকশায় করে টিএসসিতে আসে। টিএসসি পর্যন্ত আসার সংগতি পাওয়া গেছে মোটামুটি। এরপর ওই বান্ধবী বলে যে তাকে রাত ১০টার দিকে রামপুরার কাছাকাছি ড্রপ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ এবং পরিবারের স্বজনরা বলছেন, ফারদিনের বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত শুক্রবার রাতে তাকে রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে নামিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকে আর কোনও হদিস না পায়নি ফারদিনের পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শনিবার রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন। পরিবারের সদস্যরা সুষ্ঠু তদন্ত ও এর বিচার দাবি করেছেন।
জানা গেছে, গত চার বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ফারদিনের। পাশাপাশি তারা একটি ডিবেট ক্লাবেরও সদস্য। ওই তরুণী ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। শুক্রবার ঘোরাফেরার পর রাত সোয়া ১০টায় ওই তরুণী বাসায় ফিরে আসে বলে পুলিশকে তথ্য দিয়েছেন তিনি। সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে ওই তরুণীসহ অন্যান্যদের সঙ্গে ফারদিনের মোবাইল কল রেকর্ডের সূত্র ধরেই তদন্ত করছে পুলিশ। কীভাবে ফারদিনের মৃত্যু হলো, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।