‘ফারদিনের মাথায়-বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নুর পরশকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শেখ ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ফারদিনের মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ভিসেরা টেস্টের পর বিস্তারিত আরও জানতে পারব।’
এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (২০১৭-১৮) এ শিক্ষার্থী গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ঢাবি-জাবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন বুয়েটের ফারদিন
ওই দিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে ফারদিন নূর পরশ রাজধানীর ডেমরা থানার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বুয়েটে তাঁর আবাসিক হলের উদ্দেশে বের হন। পরদিন শনিবার সকালে তাঁর পরীক্ষা ছিল। তবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ফারদিনের বাবা জিডিতে আরও লেখেন, তিনি পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, ফারদিন তার এক মেয়েবন্ধুর সঙ্গে রিকশায় রামপুরা গিয়ে নেমে যায়। তারপর বাসায় ফেরেনি।
এদিকে, ফারদিন নুর পরশকে কেউ হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে, নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় তার একজন ছেলেবন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ফারদিনের বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চার বছর ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।
নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে নৌ পুলিশের টিম গিয়ে বনানী ঘাট এলাকায় নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।