২০ অক্টোবর ২০২২, ০৯:৩৮

অস্ত্র উচিয়ে সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের দুই নেতাকে যবিপ্রবি থেকে বহিষ্কার

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে   © ফাইল ছবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. আহসান হাবীবের সই করা পৃথক দুটি অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বহিস্কৃতরা হলেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (এফবি) বিভাগের মনিরুল ইসলাম হৃদয় এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের আসিফ আহমেদ। তারা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারী।

অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর মারামারির ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে অস্ত্রধারী দু’জন মনিরুল ইসলাম হৃদয় এবং আসিফ আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের দায়ে তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। তদন্ত কমিটির তদন্ত চলাকালে তাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

একই সঙ্গে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্টকে উক্ত শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ ও অবস্থান না করতে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজে সহায়তার জন্য ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে তারা।

আরেকটি অফিস আদেশে মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মেহেদী হাসানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. হাফিজ উদ্দিন ও সদস্য সচিব প্রক্টর ড. হাসান মো. আল-ইমরান। ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাতে শহীদ মশিয়ুর রহমান হলে ডাকাতি হয়। এতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী নুরুল আমিন। এতে ক্ষুব্ধ হন শামীম হাসানের ভাগনে ও বর্তমানে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল ও তার অনুসারীরা।

এর জেরে গত রোববার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে কদমতলায় তানভীরের অনুসারী সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয় ও কর্মী জিসান আহমেদ অস্ত্র নিয়ে সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের ধাওয়া করে। এরপর তারা শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে অবস্থান নেয়। পরে রাতে সোহলের অনুসারীরা হলে প্রবেশ করলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন সাংবাদিকসহ পাঁচজন।