‘শিক্ষায় এখন আমরা বঙ্গবন্ধু সরকারের বরাদ্দের সুফল পাচ্ছি’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের পুনর্গঠনে শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। শিক্ষার প্রসারে তার সরকারের বাজেটের ২২ শতাংশই বরাদ্দ ছিল শিক্ষাখাতে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘৫০ বছরে বাংলাদেশ; অর্জন, সম্ভাবনা ও সমস্যা’ শীর্ষক আন্তজার্তিক সম্মেলনের উদ্বোধনীতে তিনি এসব কথা বলেন। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, শিক্ষার দিক দিয়ে দেশ এগিয়েছে বেশ। এখন আমরা শিক্ষায় বঙ্গবন্ধু সরকারের বরাদ্দের সুফল পাচ্ছি। এখন তুলনামূলকভাবে চাহিদার ক্ষেত্রে অন্যান্য খাতেও বরাদ্দ দিতে হয়। চাহিদার আলোকে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষায়, অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অনেক কিছুই অর্জন করেছে স্বাধীনতার ৫০ বছরে। সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি, খাদ্য উৎপাদন, মানব উন্নয়ন সূচকে। আজ আমরা অনুকরণীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ঊর্ধ্বগতি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ অনেক ক্ষেত্রেই। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আগামী দিনে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা।
আরও পড়ুন: স্কলারশিপ নিয়ে আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার সুযোগ
সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এতে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনতাহা রকীবের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের আহ্বায়ক ও সামাজিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান। অনুষ্ঠান শেষে ভোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন সম্মেলন সচিব ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে আলোচনা ও বিশ্লেষণ হবে বাংলাদেশের গত ৫০ বছরের অর্থনীতি, আর্থ সামজিক উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও উন্নয়ন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে সংস্কার, সংস্কৃতি বিনিময়, চ্যালেঞ্জ, ভাষা ও সাহিত্য, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতি, কোভিড-১৯, দারিদ্র্যতা, লিঙ্গ বৈষম্য, টেকসই উন্নয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে। সম্মেলনে অংশ নেন বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তুর্কি, ভারত, মঙ্গোলিয়া ও ডেনমার্কসহ আটটি দেশের শতাধিক গবেষক। ১৪টি সেশনে অফলাইনে উপস্থাপন করা হবে সম্মেলনের গবেষণাপত্রগুলো।