সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগ দাবি

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা’। এসময় চাকরি সরকারিকরণের দাবি জানান তারা ৷ আর দাবি না মানা হলে ফের আন্দোলনের ঘোষণাও প্রদান করা হয়।

আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন কর্মচারীরা৷ কর্মচারীদের পক্ষে সরকারি কলেজের বেসরকারী কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. দুলাল সরদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷

সংবাদ সম্মেলনে কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা পরিচালনাকারী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ২০১৩ সালে জনবল নিয়োগ দেয় কিন্তু বেসরকারি কর্মচারীদের কোন অগ্রাধিকার দেয়নি৷ মাউশি ২০২০ সালে আবারও জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে সুপ্রিম কোর্ট একটি রিট মামলায় বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগে অগ্রাধিকার থাকলেও মাউশি তা মানেনি৷ তাই দাবি না মানলে আগামী সেপ্টেম্বরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বৃহত্তর আন্দোনলের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা৷

এছাড়াও নতুন করে সরকারি কলেজগুলোতে কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার যে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের থেকে স্থায়ীভাবে নিয়োগের দাবি জানান সরকারি কলোজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল সরদার।

তিনি বলেন, সরকারি কলেজগুলোতে মাত্র ৫ শতাংশ কর্মচারী সরকারি ভাবে কর্মরত বাকী ৯৫ শতাংশই বেসরকারি কর্মচারী কর্মরত৷ করোনা মহামারীর সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেসরকারি কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ না করে দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল৷ কিন্তু মহামারীর এই সময়ে কর্মচারীদের বেতন অর্ধেক করা হয়েছে৷ বর্তমানে মাত্র ১৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা বেতনে তাঁরা মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং অনেকে চাকরি হারিয়েছে ৷ এমতাবস্থায় চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানান তারা৷

অবশ্য এর আগেও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত বছরের ৮ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি কলেজ ও সরকারি মাদ্রাসাগুলোতে কর্মসূচি পালন করে কর্মচারীরা৷ এসময় তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব ও মাউশির মহাপরিচালকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷

প্রসঙ্গত, দেশের ৪০০টি সরকারি কলেজ ও ৩টি সরকারি মাদ্রাসায় কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছে ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এসব কর্মচারীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছে ৷


সর্বশেষ সংবাদ