৭ জুলাই থেকে পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা চুয়েট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত সর্বজনীন পেনশনের ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও ইউজিসির আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের ব্যানারে তারা এই কর্মসূচিগুলো পালন করেন।
উক্ত অবস্থান কর্মসূচিতে তারা জানান, দাবি না মানা হলে তারা আগামী ৭ জুলাই থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে যাবেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে। তাই তারা সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে তাদের দাবি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম আবারো বহাল করার অনুরোধ রাখেন।
চুয়েট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজ করি, তারা বেতনের বাইরে গিয়ে অন্যদের মতো টাকা আয় করতে পারি না। তাই আমাদের যে সম্বলটুকু আছে সেগুলোকে আঁকড়ে ধরতে চাই। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু যতদিন আমাদের ন্যায্য দাবিগুলো না মানা হবে ততদিন আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের পর থেকে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে যাঁরা নতুন যোগ দেবেন, তাঁরা বিদ্যমান ব্যবস্থার মতো আর অবসরোত্তর পেনশন-সুবিধা পাবেন না। তার পরিবর্তে নতুন চাকরিজীবীদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত কয়েকদিন যাবৎ এসব কর্মসূচি পালন করে আসছেন।