শোকসভার বিরোধিতা রাষ্টদ্রোহিতার শামিল- বুয়েট ইস্যুতে কড়া প্রতিবাদ উপমন্ত্রীর
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীত শোক দিবস উপলক্ষ্যে বুয়েটের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের একটি কর্মসূচিকে ঘিরে ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বুয়েট শিক্ষার্থীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
গতকাল শনিবার বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ জানার পরও এমন কর্মসূচির খবরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি কর্মসূচি শেষ করে ক্যাম্পাস থেকে চলে যান।
পরে শিক্ষার্থীরা অডিটোরিয়ামের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ শুরুর পর সেখানে ছাত্রদের সাথে কথা বলতে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী যান। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এটা কোনো কর্মসূচি নয়। এটা কেবল একটি দোয়া মাহফিল।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধুকে সবাই ভালোবাসেন। বঙ্গবন্ধু সবার। তাহলে তার জন্য আয়োজিত দোয়া মাহফিলে ছাত্রলীগের ব্যানার থাকবে কেন? বিষটি নিয়ে আজ রবিবার বৈঠকে বসবে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শোক দিবসের কর্মসূচিতে বিরোধীতাকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, ''যেই শিক্ষার্থীরা শোক সভার বিরোধীতা করে প্রতিবাদ করেছে, রাষ্ট্রীয় অর্থে তাদের পাঠদান চালিয়ে যাওয়া উচিত কিনা, সেই সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের নেয়া প্রয়োজন। এটি প্রায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।''
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাত শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।