নতুন কারিকুলামের বই পেল ৬২ প্রতিষ্ঠান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৬ AM , আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৮:৩৬ AM
নতুন কারিকুলামের পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৬২টি প্রতিষ্ঠানকে বই দেওয়া হয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে এই পাইলটিং কার্যক্রম চলবে। আগামী মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই পাঠ্যসূচি অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস নেবে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন কারিকুলামের বই বিতরণের উদ্বাধন করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, সচিব নাজমা আকতারসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখনই সাপ্তাহিক দু’দিন ছুটি আছে। মাধ্যমিকে ও উচ্চমাধ্যমিকে কোথাও কোথাও এখন দু’দিন আছে।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীরা পাঁচদিন খুব মনোযোগ করে পড়বে’
“আমরা যখন কারিকুলামের রূপরেখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম তখনই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় দুইদিন ছুটি করতে চাই। পাঁচদিন খুব মনোযোগ করে পড়বে তারপর দুইদিন ছুটি থাকা দরকার। প্রাথমিক একদিন প্রস্তাব করেছিলো। প্রধানমন্ত্রী তখন প্রাথমিকের পক্ষ নিয়ে বললেন— আমাদেরও দু’দিন লাগে। আমরা ঠিক করেছি। সব শিক্ষাপ্রাতষ্ঠানেই দুদিন হবে। এখন যারা পাইলটিংয়ে যাবে তাদের দুদিন ছুটি থাকবে। আশা করি ২০২৩ সাল থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন থাকবে।”
নতুন কারিকুলামের বিষয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা, সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ শিখতে পারবে। সব কিছুর সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষার্থীরা দক্ষ মানুষ হবে, নিজেরা চিন্তা করতে শিখবে, চিন্তার জগত প্রসারিত হবে, শিক্ষার্থীরা যা শিখবে তা প্রয়োগ করা শিখবে, সমস্যা চিহ্নিত করতে পারবে, তার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে। আমরা শিক্ষার্থীদের সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।
আরও পড়ুন: এবারও জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি, দিনক্ষণ নির্ধারণে শিগগির বসবে কর্তৃপক্ষ
“বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে যে গন্তব্য আমরা ঠিক করেছি, সেই গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে গতানুগতিক যে পড়াশোনা সেটি যথেষ্ট ছিলো না। কাজেই আমরা নতুন শিক্ষাক্রমে যাচ্ছি তাতে যেন সঠিক সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি। আজকের শিশুরাই আগামী দিনে দেশের হাল ধরবে এবং দেশকে প্রত্যাশার সেই জায়গায় নিয়ে যাবে। সেই প্রত্যাশায় নতুন কারিকুলামের জন্য আমরা সবাই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে পাইলটিংয়ের জন্য নির্বাচিত রাজধানী তিনটি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীরা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আর পাইলটিংয়ের জন্য নির্বাচিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।