বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভিসি নিয়োগ দেবে সরকার
দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ন্যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও উপাচার্য নিয়োগ দেবে সরকার। এজন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুধু তাই নয়, ট্রাস্টি বোর্ডের পরিধিও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ৯ জন ট্রাস্টির পরিবর্তে ১৫ জন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত পাঁচজন শিক্ষাবিদ রাখতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ ‘ট্রাস্টি বোর্ডে’র ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। বাহির থেকে সিন্ডিকেট সদস্যও বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে পছন্দের প্রার্থীকে উপাচার্য প্যানেলের জন্য মনোনয়ন দেয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ সংশোধন করা হচ্ছে। শিগগিরই আইনের খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরপর সেটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।
সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায় আইন-২০১০ সংশোধনে গঠিত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য ইউজিসি মনোনয়ন করবে। প্রতিমাসে অন্তত একটি করে সিন্ডিকেট মিটিং আয়োজন করতে হবে। টিউশন ফি নির্ধারণের তথ্য ইউজিসিকে অবহিত করতে হবে এবং যৌন হয়রানি রোধ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির আহবায়ক ও ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক পুরোনো আইনের মাধ্যমে পিরচবিলত হচ্ছে। এজন্য আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বেশকিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করতে যাচ্ছি। আমাদের কয়েকদফা বৈঠক হয়েছে। আরও কয়েকটি মিটিং করতে হবে। এরপর আমরা সংশোধনীর খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।
প্রসঙ্গত, দেশে ১৯৯১ সালে প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া হয়। তবে তখন এগুলো মনিটরিংয়ের জন্য কোনো আইন ছিল না। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়।এরপর ২০১৫ সালে আইনটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে লক্ষ্যে ওই বছর অক্টোবর মাসে ৫ সদস্যের কমিটির গঠন করা হয়। এতে বেশ কিছু সুপারিশ করা হলেও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের আপত্তির কারণে সংশোধনী ধামাচাপা পড়ে যায়।