নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি চলতি বছরেই
চলতি বছরেই নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ শনিবার (০৭ আগস্ট) বিকেলে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা আইনের কাজ আমরা শেষ করেছি। এটা মন্ত্রী পরিষদে পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি, শিগগিরই জাতীয় সংসদে তা অনুমোদিত হবে। আমরা ইতিমধ্যে এমপিও নীতিমালা যুগোপযোগী করেছি।
এদিকে, চূড়ান্ত অনুমোদিত তালিকার মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৩০টি আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৯৯১টি। কলেজ পর্যায়ে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৯২টি, ডিগ্রি স্তরে রয়েছে ৫২টি এবং স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে রয়েছে ৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এছাড়া মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত প্রণয়নে কাজ চলছে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই প্রশিক্ষণবিহীন কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ঢুকবেন না। যদিও আমাদের এখনকার শিক্ষকরা চার বা পাঁচ বছর পাঠদান করার পর প্রশিক্ষণ নিতে আসছেন। কিন্তু ততদিনে সেই শিক্ষকের মাইন্ডসেট এমনভাবে তৈরি হয়ে যায় সে আর নতুন কিছু গ্রহণে আগ্রহী হন না।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়মিত এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) করার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা আছে। সেটার অংশ হিসাবে এ খাতে চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্তির জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব আছে। তবে এমপিওভুক্তির জন্য যখন রাজনৈতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় তখন প্রয়োজনের নিরিখে বরাদ্দ বাড়ানো হয়ে থাকে।