০৮ জুলাই ২০২১, ১১:০৬

ইউপি চেয়ারম্যান ও কলেজ প্রভাষক— একই ব্যক্তির দুই পদে থাকার অভিযোগ

মাহবুব আলম  © টিডিসি ফটো

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এমপিওভুক্ত কলেজের প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যক্তির নাম মাহবুব আলম। তিনি উপজেলার ১৩ নং এওয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

জানা গেছে, মাহবুব আলম বেগম রহিমা ইসলাম কলেজে পৌরনীতি বিষয়ের প্রভাষক (ইনডেক্স নম্বর- ৫৬৭৮৯৯৭১) হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন। ফলে এমপিও নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশোধীত এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর ১১.১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এমপিওভুক্ত কোনও শিক্ষক-কর্মচারী একইসঙ্গে একাধিক কোনও পদে/চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনও পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। এটি তদন্তে প্রমাণিত হলে সরকার তার এমপিও বাতিলসহ দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।’ অথচ সরকারি বিধিবিধান উপেক্ষা করে দুই প্রতিষ্ঠানেই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। 

স্থানীয়রা জানান, পৌরনীতির শিক্ষক মাহবুব আলম স্থানীয়ভাবে প্রভাশালী। তার সেই প্রভাব খাটিয়ে একই সাথে দু’টি দায়িত্ব পালন করছেন। যা এমপিও নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ জানলেও অজানা কারণে তিনি নীরব ভূমিকা পালন করছেন। 

এদিকে একই সাথে দুই জায়গায় দায়িত্ব পালনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও কলেজ প্রভাষক মাহবুব আলম। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, দেশের অনেক জায়গায় অনেক ব্যাক্তি একসাথে দুই পদে কর্মরত আছেন।  প্রতিবেদককে তিনি নীতিমালা ভালোভাবে জেনে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শরিফুল আলম শোয়েব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই নিয়ম আগে ছিল। তবে সংশোধীত এমপিও নীতিমালার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে আপনাকে জানাব।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ)  মু: ফজলুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক-কর্মচারী একই সাথে অন্য কোনো আর্থিক লাভজনক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকতে পারবেন না। আমাদের সংশোধীত এমপিও নীতিমালায় বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা আছে।

তিনি আরও বলেন, কেউ যদি এমপিও নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে তার এমপিও বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ কর হবে।