শিক্ষা প্রশাসনের সব কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব চান শিক্ষা ক্যাডাররা

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার  © লোগো

শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের দিয়েই শিক্ষা প্রশাসনের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ বলে  মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা প্রশাসনের কার্যক্রম তদারকি করার জন্যও অন্য কোনও পেশার কর্মকর্তাদের প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি তাদের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত উদ্যোক্তাদের ধারাবাহিক ওয়েবিনারের প্রথমদিন এই প্রস্তাব করা হয়।

আজ রবিবার (৪ জুলাই) বিসিএস এডুকেশন একাডেমির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার (৩ জুন) বিকালে ‘বিসিএস এডুকেশন একাডেমি’ ও ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার উন্মুক্ত মঞ্চ’র উদ্যোগে ‘শিক্ষায় মডেল রাষ্ট্রের সন্ধানে : প্রসঙ্গ সিঙ্গাপুর’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওই সেমিনারে আলোচকরা শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকদের দিয়েই শিক্ষা প্রশাসন চালানোর প্রস্তাব করেন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ওয়াসীম মো. মেজবাহুল হক এবং বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক জিয়া আরেফিন আজাদ।

এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন কানাডার ওন্টারিও প্রদেশের শেরিডান কলেজের অধ্যাপক ড. একেএম খায়রুল ইসলাম, সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন বাংলা স্কুলের অধ্যক্ষ রুবাবা ইসলাম সাবেদ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সহকারী অধ্যাপক ড. কাজী জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রবন্ধকার ড. ওয়াসীম মো. মেজবাহুল হক।

অনুষ্ঠানে জিয়া আরেফিন আজাদ সিঙ্গাপুরকে কেন মডেল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শ্রেণিকক্ষ শিক্ষকরাই শিক্ষা প্রশাসনের সকল দায়িত্ব পালন করছেন। তদারকি করার জন্য অন্য কোনও পেশার কর্মীদের এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের এই বিচ্ছিন্নতা আমাদের শিক্ষার দুর্দশার অন্যতম কারণ।


সর্বশেষ সংবাদ