শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে যোগ দেননি কওমি আলেমরা
গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগারি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ডাকা একটি বৈঠকে যোগ দেননি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নীতিনির্ধারকরা। সময় স্বল্পতা ও সভার আলোচ্যবিষয় কওমি মাদ্রাসার ২০১৮ এর আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় বৈঠকে যোগ দেননি তারা।
গতকাল শুক্রবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বুধবার (২৩ জুন) রাতে মন্ত্রণালয়ের সভায় যোগদানের অপারগতা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের ডাকা বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে কওমি মাদ্রাসা খোলার বিষয় ছিল না। অথচ আল-হাইআতুল উলয়ার পক্ষ থেকে এ বিষযে সরকারের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে বারবার আলোচনা করা হচ্ছিল। মাদ্রাসা খোলার বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকা সময়ের অন্যতম দাবি ছিল।
এছাড়াও ‘সভার নোটিশ’-এর আলোচ্য বিষয় এবং ‘অফিস আদেশটি’ আইন, ২০১৮ এর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সভার আলোচ্যবিষয় সম্পর্কে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হওয়া জরুরি। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব ছিল না।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেফাকের কার্যালয়ে আল-হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির ঢাকাস্থ সদস্যরা এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই সোমবারের (২৮ জুন) বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
এতে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হুজুর, মুফতি আরশাদ রাহমানী, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমূদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মুফতি নূরুল আমীন, মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ ফরিদী, মাওলানা মনীরুজ্জামান, বেফাকের মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মাদ যুবায়ের।