ছাত্র-ছাত্রীদের টিউটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে: শিক্ষাসচিব
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে না পারায় শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো অভাববোধ সৃষ্টি যাতে না হয়, সেজন্য কো-কারিকুলাম অ্যাকটিভিটির মধ্যে তাদের রাখা হবে। শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের নিজের সংস্পর্শে রাখবেন।’ করোনাকালে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘বাবা-মাসহ তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। অনলাইনে ক্লাসে চিত্রাঙ্কন, বিভিন্ন ধরনের সংগীত, আবৃত্তিসহসাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অধীনে নিয়ে আসবেন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে কীভাবে মানসিকভাবে সুস্থ ও সবল রাখা যায়, তা বিবেচনা করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।’
সর্বোপরি ছাত্র-ছাত্রীদের টিউটরিং বা নিবিড় একাডেমিক তত্ত্বাবধানের মধ্যে নিয়ে আসা হবে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এটি চালু আছে।’ এ ব্যাপারে আগেও নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।’ আবার নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বেড়েছে। এ সময়ে অনলাইনে এবং টেলিভিশনসহ বিভিন্নি মাধ্যমে লেখাপড়া চলবে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক সুরক্ষারও পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রত্যেক শিক্ষকের অধীনে তাদের ভাগ করে দেওয়া হবে। এরপর শিক্ষকেরা তাদের অধীন শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ে খোঁজখবর রাখবেন। চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে তিন কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থী চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ সময়ে দূরশিক্ষণ ও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও তা কার্যকর ফল বয়ে নিয়ে আসতে পারেনি।
এর আগের ঘোষণা অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন ১৩ জুন খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংবাদ সম্মেলনের দিন গত ২৬ মে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। কিন্তু পরে সংক্রমণ বেড়েছে। গত শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর শনিবার বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে করোনার সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে না।