হল খোলার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত: সচিব
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান লকডাউন আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ১৭ মে থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খোলা হবে কিনা সেটি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ১৭ মে থেকে হল খোলা হবে কিনা সেটি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এদিন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লকডাউন বাড়ায় পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খোলা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন মঙ্গলবার (৪ মে) বিকেলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগামী ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল খোলা হবে কিনা সে বিষয়ে আমারা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিবো। আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় রয়েছে। সিদ্ধান্ত হলে আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত না করে খুলবে না ঢাবি
এদিকে শিক্ষার্থীদেদের টিকা নিশ্চিত না হওয়ায় হল খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারা বলছেন, করো টিকা নিশ্চিত না করে আবাসিক হল কিংবা ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী। হলে একজন আক্রান্ত হলে সেটি পুরো হলেই ছড়িয়ে পড়বে। এই অবস্থায় টিকা নিশ্চিত না করে হল খুলতে চান না তারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, টিকা নিশ্চিত না করে আমরা হল খুলতে চাই না। আমাদের প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়েও একই সিদ্ধান্ত এসেছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই হল খোলা হবে।
প্রসঙ্গত, হল খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আগামী ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়ার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এছাড়া আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ আর ২৪ মে পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার কথাও জানান তিনি।