কওমি মাদ্রাসাকে মূলধারায় নিয়ে আসা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী
বেকার তৈরি না করে শিক্ষার্থীদের নিষ্কৃতি দিতে দেশের কওমি মাদ্রাসাকে মূলধারায় নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ সোমবার (৩ মে) শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মদিন উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ভার্চুয়াল এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকে বলছেন কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? আজকে তো দেখছেন— ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমি বলবো ভরসা রাখুন। একজন সমাজকর্মীর জন্য যেটা যথাসময়, কৌশলগত কারণে একজন রাষ্ট্রনায়কের জন্য ঠিক সেই সময়টা যথাসময় নাও হতে পারে। সে জন্য যথাযথ সময়টা একটু বিলম্বিত হতে পারে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা অতিবিলম্ব করবেন না, যথাসময়ই করবেন।
কওমি ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই করতে হবে। বেকার তৈরি না করে শিক্ষার্থীদের নিষ্কৃতি দিতে কওমি মাদ্রাসাকে মূলধারায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এখানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থটিই বড়।
তবে সরকারের সিদ্ধান্ত যাতে ‘ব্যাক ফায়ার’ না হয় সে জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। ‘ধর্মকে অপব্যবহার করতে না দেওয়ার জন্য সমাজের সকল স্তর থেকে প্রতিরোধ গড়ে ওঠতে হবে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জনমত আমাদের পক্ষে থাকতে হবে। যেহেতু শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত সেহেতু সময়মতোই সে সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা একটু ধৈর্য ধরি। আর যে সময় আমরা ধৈর্য ধরছি সেই সময় যেন সামাজিক প্রেক্ষাপটটি আমরা তৈরি করি, ক্ষেত্রটি আমরা তৈরি করি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের নিষ্কৃতি দিতে কওমি মাদ্রাসাকে মূল ধরায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের স্বার্থটি এখানে বড়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির। এছাড়া অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ড. মুজিবুর দফতরি, আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাব্বির খান, মমতাজ লতিফ, ইকরাম চৌধুরী, হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।