অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা নেয়া ‘কঠিন’, পেছাতে পারে প্রতিবেদন

পাবলিক পরীক্ষা
পাবলিক পরীক্ষা  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে কোনো পাবলিক পরীক্ষাও নিতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এ বিষয়ে সুপারিশ করতে ১১ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যমতে, গত ২৪ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে অনলাইনে পাবলিক ও বিভিন্ন শ্রেণিভিত্তিক পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সুপারিশ করতে ১১ সদস্যের কমিটিও করে দেয়া হয়েছে। চলতি মাসেই কমিটিকে এই বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অনলাইনে শ্রেণিভিত্তিক ও পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে আমাদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিবো।

চলতি মাসে এই প্রতিবেদন দাখিল করা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের বেশ কয়েকজন সদস্য সচিব করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় তাদের সাথে বৈঠক করাই কষ্টসাধ্য। ১৪ তারিখ থেকে সব অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এই মাসে প্রতিবেদন জমা দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

এদিকে দেশের প্রেক্ষাপটে অনলাইনে শ্রেণিভিত্তিক পরীক্ষা কিংবা পাবলিক পরীক্ষা নেয়া প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে সিটি করপোরেশন কিংবা জেলা শহরগুলোতে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা গেলেও পার্বত্য অঞ্চল কিংবা গ্রামে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ফলে অনলাইনে পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটি বাস্তবায়ন করা কঠিন।

অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের সক্ষমতা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষপটে অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা নেয়াটা কঠিন। যদিও ঢাকা কিংবা শহর অঞ্চলের স্কুল-কলেজ অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে এটি পুরো দেশের চিত্র নয়।  প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা নেই। এছাড়া সব শিক্ষার্থীর কাছে স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ নেই। ফলে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া এতটা সহজ হবে না।

সক্ষমতা যাচাইয়ে আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনলাইনে শ্রেণিভিত্তিক কিংবা পাবলিক পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত সেয়া হবে। তবে এ মুহূর্তে আলোচনায় বসা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও অনলাইনে বৈঠক করে যতটুকু আলোচনা করা যায় আমরা করব। সবার সাথে আলোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর বাকি সিদ্ধান্ত তারা নেবেন।


সর্বশেষ সংবাদ