২০২১-এ অটোপাস নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে কোনোভাবেই অটোপাস দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে কর্মরত ১৫টি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা 'নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
সেখানে বক্তৃতাকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'খুবই সহজ কথা। ২০২০ সালে যারা এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ছিল, ওরা ওদের সব কাজ করেছে, ভাল করে পড়াশোনা করেছে। পুরোপুরি তৈরি হয়েছে, ঠিক পরীক্ষাটার আগ মুহূর্তে সব বন্ধ হয়েছে। কাজেই ওরা যে মেধার প্রকাশ ঘটাতে পারত, ধরে নেওয়া যায়, আগের দুটো পাবলিক পরীক্ষায় ওরা তা ঘটাতে পেরেছে। কাজেই সে দুটোর ওপর ভিত্তি করেই ফলাফল দেওয়া গেছে। এবার যারা পরীক্ষা দেওয়ার কথা, সমীক্ষা অনুযায়ী তাদের অধিকাংশই ক্লাস করেনি। যদি আপনাদের তথ্য সঠিক ধরে নেই, তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস থেকে তেমন কোনো সুবিধা পায়নি। আপনাদের কথা অনুযায়ী অনেকে অনলাইন ক্লাসের বিষয়াআশয় ধরতেই পারেনি। তাহলে তাদেরকে পড়াশোনা ছাড়া কীকরে অটোপাস দেব বলেন? এটার তো সুযোগ নাই। সেজন্য আমরা যেটা করেছি। আমরা ধরে নিয়েছি, পুরোপুরি অবস্থার ওপরে নির্ভর করবে।'
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'আমরা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পাব, নাকি শেষ দিকে পাব, অথবা মার্চের শুরুতে পাব, সেটা দেখার বিষয়। তবে আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকি নেবো না। যতদিন স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকবে তখন পর্যন্ত আমরা খুলবো না। যখন মনে করব ঝুঁকিটা খুবই কম, নিরাপদভাবে খোলা যায়, তখন খুলব।'
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, 'মার্চের শুরুতে যদি তা পারি। আমরা একটা হিসাব করেছি, কতদিন ধরে ক্লাস নিলে পরে তাদের শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হবে না। তখন আমরা কতগুলো কার্যদিবস পাব এবং কতগুলো ক্লাস পাব, সেই হিসাব করে এইচএসসি ও এসএসসি উভয়ের জন্য নতুন করে সিলেবাস প্রণয়ন করেছি।'
সিলেবাস প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, 'এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবসের একটা সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এখানে যে যে বিষয়গুলো জানাটা একেবারে অত্যাবশ্যক সেটা মাথায় রাখা হয়েছে। আর এইচএসসির বেলায় ৮৪ কর্মদিবসকে হিসাব করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে কিছুদিন দেরি হলে পরীক্ষা আরেকটু পিছিয়ে নেওয়া হবে। তাতে এমন কোনো মহাভারত অশুদ্ধ হবে না।'